কলকাতা: ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্পে ত্রাণের মাপকাঠির সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার কী ভাবে নিল তা জানতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন এক আইনজীবী। এই মামলায় রাজ্য সহ সব পক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৭ আগস্ট পরবর্তী শুনানি এই মামলার।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে রাজ্য সরকার। ‘দুয়ারে ত্রাণের’ মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে এই ক্ষতিপূরণ।এই ক্ষতিপূরণের মাপকাঠি কী ভাবে তৈরি করলো সরকার, পাশাপাশি যে সব মানুষের আবেদনপত্র বাতিল করেছে রাজ্য সরকার সেগুলো কিসের ভিত্তিতে করা হয়েছ, তা জানতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন আইনজীবী অরিন্দম দাস। আজ সেই মামলায় সব পক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ‘দুয়ারে ত্রাণ’-এর মাধ্যমে ইয়াসের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে ১,৫০০ টাকা করে প্রত্যেককে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে তিন হাজার আবেদন বাতিল করেছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন- দুষ্কৃতীদের হাতে খুন তৃণমূল নেতা, প্রতিবাদে বিক্ষোভ-অবরোধ মঙ্গলকোটে
অন্যদিকে সম্প্রতি কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, আগামী ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দিতে হবে। ইতিমধ্যে দেড় লক্ষ মানুষ ক্ষতিপূরণ পেয়ে গেলেও অনেকেই পাননি। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে নবান্ন। গত ১ জুলাই থেকে সরকারের ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্প শুরু হয়েছিল। সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল ৭ জুলাইয়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত সকলে ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়ে যাবেন। যদিও এখনো পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। রাজ্যের অনেক জেলায় এখনো পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের ফলে আবহাওয়া ঠিক হয়নি। সেই কারণে আবেদনপত্র খতিয়ে দেখার কাজ ব্যাহত হয়েছে। এই কারণে সঠিক সময়ে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানা যাচ্ছে। ত্রাণের ব্যাপারে ঘোষণা করার পর গত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলিতে আবেদন জমা নেওয়া হয়। পরবর্তী ক্ষেত্রে যাচাইয়ের কাজ হয় জুন মাসের শেষ দিন পর্যন্ত। তবে এখনো পর্যন্ত অনেক ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছয়নি। যাচাইয়ের কাজ দেরী হবার জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে।