capital punishment
কলকাতা: গত বছর প্রেমিকের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন বহরমপুর গার্লস কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুতপা চৌধুরী। এই ঘটনায় সুতপার প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীক গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। আজ তাকে ফাঁসির সাজা দিলেন বহরমপুরের তৃতীয় ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের অতিরিক্ত ও জেলা দায়রা বিচারক। সুতপা চৌধুরী হত্যাকাণ্ডে আগেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল সুশান্ত। আজ রায় শোনার পর কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। যদিও এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার ভাবনা রয়েছে পরিবারের।
সুশান্ত চৌধুরীকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) এবং ২৮এ (অস্ত্র আইন)-এ দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। সরকার পক্ষের আইনজীবী সহ গোটা বহরমপুরবাসী সুশান্তের ফাঁসিই চেয়েছিল। সরকারি আইনজীবীর যুক্তি ছিল, আসামির মানসিকতাই হল মহিলারা পুরুষদের প্রত্যাখ্যান করতে পারে না। এই কারণে কখনও সুতপাকে নকল বন্দুক নিয়ে ভয় দেখিয়েছে, কখনও খুন করার জন্য ছুরি কিনে তাঁকে আক্রমণ করেছে। তবে সুশান্তের আইনজীবী পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলেছিলেন, অল্প বয়সে আবেগের কারণ এই ঘটনা। তাই সংশোধনের সুযোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু সরকারি আইনজীবী তা না মেনে স্পষ্ট উল্লেখ করেছিলেন যে এটি বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ।
গত বছর ২ মে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের গোরাবাজার এলাকায় খুন হন সুতপা চৌধুরী। তার মেসের দরজার সামনেই সুশান্ত তাকে আক্রমণ করে। ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে সুতপাকে খুন করার পর নকল পিস্তল উঁচিয়ে আশপাশে ভিড় জমাতে থাকা স্থানীয়দের দিকে তেড়ে যায় সুশান্ত। এমন নৃশংস ঘটনায় রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। পরের দিনই সমশেরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার হয় সে। ঘটনার ৭৫ দিনের মাথায় বহরমপুর আদালতে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। আদালতে জমা পড়ে ৩৮৩ পাতার চার্জশিট। তাতে ৫৪ জন সাক্ষীর বয়ান ছিল।