Sushant
কলকাতা: গত বছর মে মাসের ঘটনা। প্রেমিকের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন বহরমপুর গার্লস কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুতপা চৌধুরী। এই ঘটনায় সুতপার প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীক গ্রেফতার করে পুলিশ। বহরমপুরবাসী তার ফাঁসি ছাড়া কিছু চাইছে না। কিন্তু আদতে কি সুশান্তের ফাঁসির সাজা দেবে আদালত? তার উত্তর মিলবে বৃহস্পতিবার। সরকারি পক্ষের আইনজীবীর কিন্তু দাবি, এটি বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ। তবে সুশান্তের আইনজীবীর বক্তব্য, অল্প বয়সে আবেগের কারণ এই ঘটনা। তাই সংশোধনের সুযোগ দেওয়া উচিত। (Sushant)
মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে সুশান্ত চৌধুরীকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) এবং ২৮এ (অস্ত্র আইন)-এ দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। আজ সাজা ঘোষণার শুনানি শুরু হয়েছিল বিকেলে। কিন্তু এদিনই কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি আদালত। জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা হবে। সরকার পক্ষের আইনজীবী কিন্তু দৃঢ়তার সঙ্গে সুশান্তের ফাঁসি চেয়েছেন। তাঁর কথায়, আসামির মানসিকতাই হল মহিলারা পুরুষদের প্রত্যাখ্যান করতে পারে না। এই কারণে কখনও সুতপাকে নকল বন্দুক নিয়ে ভয় দেখিয়েছে, কখনও খুন করার জন্য ছুরি কিনে তাঁকে আক্রমণ করেছে। তবে সুশান্তের আইনজীবী তাঁর মক্কেলের বয়সের যুক্তি দিয়েছে আবেগের কথাই বলেছেন। তা কতটা গ্রাহ্য হবে এখন সেটাই দেখার।
সুতপা খুনের ঠিক এক বছরের মাথায় এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত। ঘটনার ৭৫ দিনের মাথায় বহরমপুর আদালতে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। আদালতে জমা পড়ে ৩৮৩ পাতার চার্জশিট। তাতে ৫৪ জন সাক্ষীর বয়ান ছিল। এই মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী তো বটেই, চিকিৎসক, সাংবাদিক, ডিএনএ বিশেষজ্ঞদের সাক্ষ্যও নেওয়া হয়েছে।