বিশ্বজিৎ পাল, ক্যানিং: স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরী সরকারি উদ্যানের জমি বেআইনীভাবে লিজ দেওয়ার চেষ্টা আটকাল প্রশাসন। ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা এলাকার ঘটনা। ২০১৮ সালে ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের এসডিও রোডের সুন্দরবন মেলা মাঠ সংলগ্ন মাতলাচর মৌজায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা এবং মাতলা নদীর ভূমিক্ষয় রোধের জন্য বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
ক্যানিং-১ এর বিডিও নিলাদ্রি শেখর দে-র উদ্যোগে মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্পে মাতলা বৃক্ষ বন্দনা এস এইচ জি গ্রুপের মহিলারা এই কাজ শুরু করে। প্রায় ৪০ বিঘে জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫ হাজার ফল, ফুল ও কাঠ জাতীয় গাছ লাগানো হয়। অভিযোগ এই উদ্যান ধ্বংস করে জবরদখল করে অবৈধভাবে ঘরবাড়ি দোকানপাট বসিয়ে মুনাফা পকেট ভরতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে শাসক দলের বেশ কিছু প্রভাবশালী নেতা।
৬ আগস্ট বেআইনি ভাবে সরকারি এই জমি নিলামের বিঞ্জপ্তি জারি করেন মাতলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের হরেন ঘোড়ুই। অবৈধভাবে বাগানটি ৩ বছরের জন্য লিজ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। যদিও ক্যানিং মহকুমা প্রশাসনের তৎপরতায় এই উদ্যোগ বন্ধ হয়। ক্যানিং-১ বিডিও নিলাদ্রিশেখর দে চিঠি দিয়ে ব্যাখ্যা দেন এভাবে জমি লিজ দেওয়া যায় না। তারপরই গোটা প্রক্রিয়া আটকে যায়।
পাশাপাশি ক্যানিং-১ ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর বাগানে বিঞ্জপ্তি জারি করে জানায় এই জমি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের খতিয়ান ভুক্ত এবং এটি হস্তান্তরযোগ্য নয়। রাজ্যের সুন্দরবন দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা জানিয়েছেন এ বিষয়ে তিনি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। জেলাশাসক ও মহকুমাশাসককে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
ক্যানিং পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক শ্যামল মন্ডল বলেন সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে নিলামের লিজ দেওয়ার বিঞ্জপ্তি জারি করে গ্রাম পঞ্চায়েত। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যাতে কেউ সরকারি এই জমিতে অবৈধ দোকানপাট ঘরবাড়ি বসাতে না পারে সেদিকে নজর রাখা হয়েছে এবং বিভাগীয় দফতর গুলিকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এদিকে মাতলা বৃক্ষ বন্দনা এস এইচ জি গ্রুপের মহিলারা অভিযোগ করে বলেন২০১৯ ও ২০২০ সালে মাতলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েত কোন সহযোগিতা করেনি এবং জব কার্ড গুলি মাষ্টার রোল করেনি। রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জী আশ্বাস দিয়েছেন মাতলা বৃক্ষ বন্দনা এস এইচ জি গ্রুপের মহিলারা যেভাবে বৃক্ষরোপণের কাজ করছেন তা গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।