পুরুলিয়া: পুরুলিয়ায় ১২৭ নম্বরে বুথের বাইরে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির বচসা বাঁধল। অভিযোগ, বিজেপির তফসিলি মোর্চার মণ্ডল দীপক বাউড়িকে গুলি করার হুমকি দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এই ব্যাপারে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন এবং মনে করা হচ্ছে যে বিজেপি কর্মীকে এই ভাবে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়েছে তিনি যদি নিজে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান তাহলে সেই মতো কড়া পদক্ষেপ নেবে নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে ভোট চলাকালীন চলে মূল কংগ্রেস প্রার্থীর অভিযোগ তোলেন যে ইভিএম কারচুপি হচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতে উত্তেজনা ছড়ায়। পরমুহুর্তেই শুরু হয়ে যায় বিজেপি এবং তৃণমূল কর্মী সংঘর্ষ। যদিও বিজেপি দাবি করছে, গন্ডগোল এরমধ্যে গাড়ি থেকে নেমে বিজেপি কর্মীদের হুমকি দিতে থাকেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। গুলি করে খুন করে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেন তিনি এক বিজেপি কর্মীকে।
আজ প্রথম দফায় পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর সহ বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়ায় একাধিক আসনে নির্বাচন। প্রথম দফায় মোতায়েন করা হয়েছে কমপক্ষে ৭৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এসবের মধ্যেও রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে হামলার খবর আসছে। পটাশপুরে রাতভর বোমাবাজি হয়েছে। তৃণমূল এবং বিজেপি সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন পটাশপুর থানার ওসি। অন্যদিকে ঝাড়গ্রামে আহত হয়েছেন তৃণমূল কর্মী এবং যার দায় গিয়ে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরের উপর। সেখানকার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিরবাহা হাঁসদা অভিযোগ করেছেন, বিজেপি চক্রান্ত করে রাতের বেলা হামলা করেছে। যদিও বিজেপির দাবি তৃণমূল কংগ্রেস হারার ভয় থেকেই সব অভিযোগ করছে। এর পাশাপাশি রানিবাঁধের রাওতোড়ায় আক্রান্ত হয়েছেন বুথ সভাপতি। সেখানে হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এদিকে পুরুলিয়ায় তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। অভিযোগ করা হচ্ছে যে, পরিকল্পনা করে বিজেপির দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উপর!