কলকাতা: স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যাবস্থার রূপায়ণের জের, সপ্তাহের শুরুতেই চরম ভোগান্তির শিকার হতে চলেছেন শিয়ালদহ মেইন শাখার ট্রেনের নিত্যযাত্রীরা। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই কাজ। রবিবার দুপুর থেকে নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে ইছাপুর এবং নৈহাটি স্টেশনের মধ্যে। তাই কর্মব্যস্ত দিনগুলি সহ টানা আট দিনে ৩০০টিরও বেশি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে এই লাইনে। সপ্তাহের প্রথম দিন অর্থাৎ সোমবার বাতিল করা হয়েছে ৫০টি লোকাল ট্রেন। যদিও ট্রেনের অভাব পূরণ করতে বাড়ানো হচ্ছে বাসের সংখ্যা।
পরিবহণ দপ্তর সূত্রের খবর, নৈহাটি থেকে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াতের জন্য বাসের সংখ্যা বাড়াতে ইতিমধ্যেই স্থানীয় আরটিও এবং সরকারি নিগমগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, নিত্যযাত্রীদের জন্য অফিস টাইমে বাড়তি বাস চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সরকারিভাবে। কয়েকটি রুটে সরকারি ও বেসরকারি বাসের সংখ্যা বাড়ানো হলে যাত্রীদের ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। শিয়ালদহ-নৈহাটি ও শিয়ালদহ-কল্যাণী সীমান্ত শাখায় আপ এবং ডাউন লাইনে ৬টি করে মোট ১২টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। সোমবার যে ৫০টি পুরোপুরি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে সেই তালিকায় রয়েছে, শিয়ালদহ-নৈহাটি, শিয়ালদহ-কল্যাণী সীমান্ত, শিয়ালদহ-রানাঘাট, শিয়ালদহ-কৃষ্ণনগর লোকাল রয়েছে।
এর প্রভাব পড়বে শিয়ালদহ-লালগোলা শাখায়। সোমবার ট্রেন বাতিলের পাশাপাশি যাত্রাপথ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে দু’টি লোকাল ট্রেনের । এছাড়াও শিয়ালদহ-বালিয়া-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস, কলকাতা-পাটনা-কলকাতা এক্সপ্রেস, গৌড় এক্সপ্রেস, গঙ্গাসাগর এক্সপ্রেস সহ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেনকে ডানকুনি দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এদিকে ট্রেন বাতিলের দুর্ভোগের মধ্যে নতুন করে সমস্যা তৈরি করছে ছোট ভাড়া গাড়ি গুলি। এই পরিস্থিতির ফায়দা নিয়ে রাতারাতি ভাড়া বাড়িয়েছে ছোট ভাড়া গাড়ি গুলিও। সমস্যায় জেরবার নিত্যযাত্রীদের মতে এই স্বয়ংক্রিয় সিগনালিং ব্যবস্থার কাজ ছুটির দিনগুলিতে হলে নিত্যযাত্রীদের এই চরম দুর্ভোগে পড়তে হতো না।