‘ইন্ট্রো’ চলত, মেসের খাবার বন্ধ! র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধেও

‘ইন্ট্রো’ চলত, মেসের খাবার বন্ধ! র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধেও

কলকাতা: রাজ্য আপাতত উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাণ্ড নিয়ে। প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের রহস্য মৃত্যুতে উঠেছে চরমতম র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ। ইতিমধ্যেই ঘটনায় ১২ জন গ্রেফতার হয়েছে। যাদবপুরের বিষয় নিয়ে যখন এত উত্তেজনা ঠিক এই সময়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধেও উঠল একই অভিযোগ। সেখানের এক ছাত্র সিনিয়র এবং প্রাক্তন ছাত্রদের বিরুদ্ধে র‍্যাগিং করার অভিযোগ তুলেছে। এমনকি এই ইস্যুতে পুলিশের কাছে গিয়েও কোনও সাহায্য মেলেনি বলে দাবি ওই ছাত্রের। বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পাশ করা প্রযুক্তি বিভাগের (বি-টেক) ওই পড়ুয়ার অভিযোগ, ২০১৯ সালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তিনি র‍্যাগিংয়ের শিকার হন। ওই পড়ুয়া এখনও থাকে বালিগঞ্জের হস্টেলে। তার দাবি, এখানেও ‘ইন্ট্রো’র নামে সিনিয়ররা তাকে দিয়ে নানা কাজ করাত। মদের গ্লাস ধোয়ানো থেকে শুরু করে মদ আনা, তার মেসের খাবার বন্ধ করে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। ছাত্রের আরও দাবি, তার ঘরে প্রস্রাব করে রাখা হত, বোমা ছোড়া হয়েছে। টানা তিন মাস তাকে নিজের খাবার নিজেই বানিয়ে খেতে হয়েছে। এই নিয়ে সে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তো বটেই পুলিশের কাছেও গিয়েছিল। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি বলেই অভিযোগ। পুলিশ লঘু ধারা দিয়েছে বলে তাঁর দাবি। সবশেষে সে ঘটনা সম্পর্কে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনেও জানিয়েছে। 

ওই ছাত্রের ঘটনা শুনে এসএফআই স্পষ্ট অভিযোগ করেছে টিএমসিপির বিরুদ্ধে। তাদের বক্তব্য, তৃণমূলের এক ছাত্র নেতার নেতৃত্বেই এমন ঘটনা ঘটেছে। শুধু ওই হস্টেল নয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য হস্টেলেও আগে টিএমসিপি এমন কাণ্ড করে। এছাড়া তাদের আরও দাবি, সমস্ত হস্টেলেই বহিরাগত এবং প্রাক্তন ছাত্রেরা আছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − 10 =