হবে না কোনও নির্বাচন, এই প্রথম পুরসভার প্রশাসক পদে ফিরহাদ! জারি বিজ্ঞপ্তি

হবে না কোনও নির্বাচন, এই প্রথম পুরসভার প্রশাসক পদে ফিরহাদ! জারি বিজ্ঞপ্তি

কলকাতা: সমস্ত জল্পনা, গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক পদে বসলেন ফিরহাদ হাকিম৷ কলকাতা পুরসভার বর্তমান বোর্ডের মেয়াদ শেষে নিয়োগ করা হল বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর৷ বোর্ডে রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম সহ মেয়র পারিষদরা৷ আগামী ৮ মে বোর্ডের প্রথম বৈঠকে বসছে বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর৷ পুরসভার মেয়াদ শেষে নিয়োগ করা বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের মাথায় বসেছেন ফিরহাদ হাকিম৷ কলকাতা পুরসভার ইতিহাসে এই প্রথম প্রশাসক চালাবে পুরসভা৷ প্রশাসনিক আধিকারিক না হয়েও প্রশাসক পদে বসছেন ফিরহাদ হাকিম৷

এই বিষয়ে বিদায়ী মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘‘আমি ধন্যবাদ জানাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে৷ আমার ওপরে ও আমার টিমের উপরে বিশ্বাস রেখেছেন৷ কলকাতার এই পরিস্থিতির মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী আমাদের এই লড়াইয়ে চালিয়ে যেতে সুযোগ দিয়েছেন৷ আমরা গুরুত্ব দিয়েই কাজটা করে মুখ্যমন্ত্রীর বিশ্বাসের প্রতি মর্যাদা আনতে পারব  বলে আমরা মনে করি৷’’

করোনা আবহে রাজ্যে পুরভোট আগেই আপাতত স্থগিত হয়ে গিয়েছে৷ আগামী বৃহস্পতিবারই শেষ হতে চলেছে কলকাতা পুরসভার চলতি বোর্ডের মেয়াদ৷ মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে? বসবে প্রশাসক? প্রশাসক পদে কাকে বসানো হবে? শুরু হয় জল্পনা৷ করোনা জেরে পুরপরিষেবা সচল রাখতে মেয়াদ-উত্তীর্ণ হতে চলা কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক বসানো হতে পারে বলে খবর মেলে মঙ্গলবার৷ শুধু কলকাতা পুরসভা নয়, ইতিমধ্যেই রাজ্যের ৮৫টি পুরসভার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে চলতি মাসে৷ কলকাতা-সহ ওই সমস্ত পুরসভায় প্রশাসক বসতে চলেছে বলে খবর৷ এর আগেও প্রায় শ’খানিক পুরসভার মাথায় আইন বদলে প্রশাসক বসানোর ব্যবস্থা পাকাপাকি ভাবে করা হলেও ইতিহাসে প্রথমবার কলকাতা পুরসভার মাথায় বসতে চলেছে প্রশাসক৷

কলকাতা পুরসভার আইন অনুযায়ী প্রশাসক বসানো সংস্থান না থাকলেও কীভাবে তা করা যায়, তা জানতে অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছে মতামত চেয়ে পাঠানো হয়৷ পরে রিমুভ্যাল অফ ডিফকাল্টিস অ্যাক্ট বলে প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ এড়িয়ে যাওয়া হয় অর্ডিন্যান্স আনার বিষয়টিও৷ কেননা, তাতে রাজ্যপালের সম্মতি প্রয়োজন৷ এছাড়াও অর্ডিন্যান্সের ক্ষেত্রে ছ’মাসের মধ্যে তা বিধানসভায় পাশ করানো জরুরি৷ তা না হলে ছ’মাসের মধ্যে ভোট করোনা আরও জরুরি হয়ে উঠতে পারে৷ করোনা পরিস্থিতি জেরে পুজোর মুখে অক্টোবরের মধ্যে পুরভোট করা কার্যত অসম্ভব৷ তার উপর রয়েছে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন৷ ফলে সব দিক বিবেচনা করে বিনা ভোটে স্থানী বন্দোবস্ত করে বসানো হল প্রশাসক৷ তবে, এই নিয়ে এবার আইনি লড়াই হতে পারে বলে শুরু হয়েছে আশঙ্কা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 + 3 =