করোনা: রোগী মৃত্যুর জের, বন্ধ কলকাতা মেডিক্যালের ৩ ওয়ার্ড

করোনা: রোগী মৃত্যুর জের, বন্ধ কলকাতা মেডিক্যালের ৩ ওয়ার্ড

3 stocks recomended

 

কলকাতা: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বরাগনগরের এক মহিলার মৃত্যু৷ মৃত্যুর পর করোনা রিপোর্ট পজেটিভ৷ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে প্রসূতি বিভাগের পর এবার বন্ধ পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন বিভাগ৷ চলছে জীবাণুমুক্ত করার প্রস্তুতি৷ মেডিসিন বিভাগের মমস্ত রোগীর করোনা পরীক্ষা সিদ্ধান্ত৷ আপাতত মেডিসিনের রোগীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গ্রিন বিন্ডিংয়ে৷

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুটি বিভাগ, পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন বিভাগে রোগী ভর্তির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ মেডিক্যাল বিভাগে রোগীদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে৷ কিন্তু কেন হঠাৎ কেন তিনটি বিভাগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত?

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক মহিলা রোগীর মৃত্যু হয়৷ ওই মহিলাকে বেশ কয়েকদিন আগেই চার্ণক হাসপাতাল থেকে কলকাতা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়৷ ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্ত রোগী মৃত্যুর কারণে চার্ণক হাসপাতাল বেশ কয়েকজন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন৷ পরে চার্ণক হাসপাতালে রোগী ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়৷

জানা গিয়েছে, ওই মহিলাকে প্রথমে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়েছিল৷ তারপর তার অসুস্থতার বৃদ্ধি পাওয়ায়  নমুনা পাঠানো হয়েছিল পরীক্ষার জন্য৷ সেই রিপোর্ট আসার আগেই মহিলার মৃত্যু হয়৷ মৃত্যুর পর রিপোর্ট পজিটিভ মেলে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর৷ এই ঘটনার পর মরদেহ মর্গে রাখা হয়৷ ওই রোগীর কাছাকাছি আসা হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে কথা বলার প্রক্রিয়া চলছে৷ রোগী মৃত্যুর পর আপাতত কলকাতা মেডিক্যালে দুটি বিভাগ বিভাগে রোগী ভর্তি নেওয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

করোনা আতঙ্কে বন্ধ মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগ!

করোনা আতঙ্কে বন্ধ মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগ!

3 stocks recomended

কলকাতা:  কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দুই জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের হদিস!  হাসপাতাল চত্বরজুড়ে আতঙ্ক৷ জানা গিয়েছে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক প্রসূতি ও স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে৷ সতর্কতা হিসাবে মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি আপাতত বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর৷ জানা গিয়েছে, ওই সদ্যোজাত শিশু জন্ম দেওয়ার পরেই ওই প্রসূত্র জ্বর আসে৷

যদিও এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। করোনা আক্রান্ত হওযায় ওই ওয়ার্ডটি বন্ধ রেখে জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলবে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে আনা হবে। ওই ওয়ার্ডে চিকিত্সাল পরিষেবার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জনকে পাঠানো হবে কোয়ারেন্টাইনে। উত্তর কলকাতার বাসিন্দা ওই মহিলা কী ভাবে করোনায় আক্রান্ত হলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি ভর্তি হওয়ার আগে কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন? কাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁর একটি তালিকা তৈরি হচ্ছে। এর পাশাপাশি ওই মহিলার সন্তানের কোভিড-১৯ টেস্ট করা হতে পারে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।

এর আগে এনআরএস, হাওড়া, আর জি কর-সহ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে, কোথাও রোগীর মৃত্যুর পর আবার কোথাও সাধারণ ওয়ার্ডে রেখে চিকিত্সাা চলাকালীন রোগী করোনা ধরা পড়েছে। ফলে ওই ওয়ার্ডগুলি থেকে রোগীদের সরিয়ে সেখানে জীবাণুমুক্ত করতে হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠানো হয়েছে গৃহ পর্যবেক্ষণেও। এমনকি, রোগীর চিকিত্সাপ করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ডাক্তারও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *