কলকাতা: পুলিশি অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিক্ষক নেতা তথা শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক মইদুল ইসলাম৷তিনি আদালতকে জানিয়েছিলেন, গতকাল রাতে প্রায় ২০০ জন পুলিশ এসে তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় এবং যে ভাষায় তাঁর কথা বলেছেন বা যে আচরণ ও অত্যাচার করা হয়েছে, তাতে অবিলম্বে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ করা উচিত৷ যথা়থ পদক্ষেপ করুক আদালত, এমন আবেদন ছিল তাঁর৷ কিন্তু এই মামলায় আদালত স্পষ্ট করল যে, এখনই শুনানির প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন- ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে দুই প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা- শ্রীজীব, জেনে নিন তাঁদের পরিচয়
আজ এই মামলার শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতে জানান, একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতেই গতকাল পুলিশ মইদুল ইসলামের বাড়িতে গেছিল তাঁকে গ্রেফতার করতে। কিন্তু তাঁকে গ্রেফতার না করে পুলিশ ফিরে এসেছে। পুলিশের এই প্রক্রিয়ার বিষয়ে থানাতেও একটি জেনারেল ডায়েরি করা হয়েছে। মঈদুলের বিরুদ্ধে পুলিশ ৩০৭ ধারায় অভিযোগ এনেছে। এদিকে, মঈদুলের ভাইয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে আদালত তাঁকে রক্ষাকবচ দিক। বিচারপতি রাজ শেখর মান্থা জানিয়ে দিয়েছেন, যেহেতু রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আশ্বস্ত করেছেন যে তাঁকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ, ফিরে এসেছে, তাই এই মুহূর্তে এই মামলার শুনানির কোনো প্রয়োজন নেই। যদি কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে আবেদনকারী আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আদালত পরবর্তীকালে বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করবে।
আরও পড়ুন- ক্যাম্পে ৩ কোটিরও বেশি মানুষ! ‘দুয়ারে সরকার’ নিয়ে প্রবল উচ্ছ্বসিত মমতা
আসলে মইদুলের গ্রেফতারি নিয়ে চরম নাটকীয়তা হয় বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে। ঘণ্টা ২ ধরে চলে টানাপোড়েন। মইদুলকে বাইরে বেরিয়ে আসতে অনুরোধ করে পুলিশকর্মীরা। কিন্তু রাতে পুলিশের সঙ্গে যেতে রাজি হননি মইদুল। তিনি জানান, সকালে যাবেন। এরপরেই দীর্ঘ বচসা হয় তাঁদের মধ্যে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।