রাজ্যের রিপোর্টে সন্তুষ্ট হাইকোর্ট, গঙ্গাসাগর নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ১৩ জানুয়ারি

'আমার কাছে হাইকোর্টই পবিত্র মন্দির। গেটে যে স্যানিটাইজার দেওয়া হয়ে সেটাই চরণামৃত।'

কলকাতা: ‘আমার কাছে হাইকোর্টই পবিত্র মন্দির। গেটে যে স্যানিটাইজার দেওয়া হয়ে সেটাই চরণামৃত।’ গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে মামলার শুনানিতে এমনটাই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। এর সঙ্গে জানালেন, গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে রাজ্যে যে প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়েছে তাতে আদালত সন্তুষ্ট। তবে আগামী ১৩ তারিখ মুখ্য সচিবের রিপোর্ট দেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আদালত। 

করোনা পরিস্থিতিতে সুরক্ষা আগে। তাই এ বছর নাগা সাধুদের ছাড় দিয়ে গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ করার আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল যেন সাগরদ্বীপে গোটা মেলার মাঠকেই কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এছাড়া বাবুঘাটকেও কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করার আবেদনও করা হয়। এই মেলা হওয়া নিয়ে প্রথমেই আশঙ্কা প্রকাশ করে হাইকোর্ট। এর আগে আদালতের তরফে জানান হয়, বিশাল মানুষের সমাগম হবে গঙ্গাসাগর মেলায়। ‌ সেখানে কোনভাবেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয় এবং করোনাভাইরাস বিধি মানা সম্ভব নয়। মাস্ক ছাড়া সেখানে বহু ভক্তের সমাগম হলে ভাইরাস পরিস্থিতি সঙ্গীন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। কারণ যে কোন ব্যক্তির মুখ থেকে ড্রপলেট জলে মিশবে, সেই জল অন্য কেউ ব্যবহার করবে অনায়াসে। যদি কেউ মাস্ক পড়েও জলে ডুব দেয় তা সত্বেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে থেকেই যায়। কারণ ওই ভাবে ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে গঙ্গাসাগরে স্নান এই বছরে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

যদিও এদিন রাজ্যে যে প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়েছে তাতে আদালত সন্তুষ্ট বলেই জানা গিয়েছে। তবে সাগরের জল স্পর্শ না করেই যদি পুণ্যস্নান করা যায়, তাতে অসুবিধা কোথায়? রাজ্য সরকার কেন ই-স্নান বাধ্যতামূলক করছে না, এইসব প্রস্ন তলা হয়েছে আদালতের তরফে।এই প্রেক্ষিতে ই-স্নানে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *