কলকাতা: ২ মে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকে রাজ্যের একাধিক জায়গায় হিংসার চিত্র ধরা পড়ে। বিজেপি নেতারা অভিযোগ করতে শুরু করেন যে জায়গায় জায়গায় তাদের কর্মী এবং সমর্থকদের আক্রমণ করছে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। এমনকি দাবি করা হয় যে বেশ কয়েকজন কর্মী এবং সমর্থক খুন হয়েছেন। আবার কয়েক হাজার বিজেপি কর্মী বাংলা ছাড়া হয়েছেন বলেও দাবি করা হয়েছিল। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এই ফের একবার শান্তির বার্তা দিয়ে জানিয়েছিলেন যে হিংসায় যারা যুক্ত রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এবার ভোট পরবর্তী হিংসা মোকাবিলায় রাজ্যের ভূমিকার প্রশংসা করল কলকাতা হাইকোর্ট।
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কয়েকজন আইপিএস বদলি করেছিলেন। একইসঙ্গে বার্তা দিয়েছিলেন যে রাজ্যের শান্তির আবহ তৈরি করতে হবে এবং যারা যারা হিংসায় জড়িত তাদের প্রত্যেকে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে দলমত নির্বিশেষে। এবার হিংসা রুখতে রাজ্যের প্রশংসা করে কলকাতা হাইকোর্ট জানালো, দায়িত্বে আসার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যের হিংসার ঘটনা বন্ধ হয়েছে। এদিকে শান্তির বাতাবরণ রাখার জন্য সবাইকে একসঙ্গে সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
যদিও রাজ্যজুড়ে হিংসার ঘটনায় কেন্দ্র এবং রাজ্য দুজনেই দায়ী করেছে তারা। এই প্রেক্ষিতে বলা হয়েছে, সমান দায়ী কেন্দ্র এবং রাজ্য কিন্তু কার দোষ সেটা পরে দেখা যাবে। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে যে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল তার পর্যবেক্ষণে এমনটাই জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রত্যক্ষভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করা হয়েছে এই ক্ষেত্রে। বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হিংসা বন্ধে পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ নিয়েছেন ৫ মে। তারপর থেকে রাজ্যে আর কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।