অধ্যক্ষ ডাকলে হাজিরা দিতে হবে! হাইকোর্টের রায়ে অস্বস্তিতে সিবিআই

অধ্যক্ষ ডাকলে হাজিরা দিতে হবে! হাইকোর্টের রায়ে অস্বস্তিতে সিবিআই

কলকাতা: নারদ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে অস্বস্তিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। নারদ মামলায় বার বার বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআইয়ের আধিকারিকদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু তারা কেউ যাননি। দাবি করা হয়েছিল, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক্তিয়ার নেই নারদ মামলায় অভিযুক্ত ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, প্রাক্তন কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়দের সিবিআই দফতরের হাজিরা থেকে আটকানো এবং গোয়েন্দাদের ডেকে পাঠানো। কিন্তু আদালত বলল অন্য কথা। হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিল, স্পিকার একটি সাংবিধানিক পদ। তাই তিনি ডাকলে হাজিরা দিতে হবে সিবিআইকে। সেই প্রেক্ষিতেই আজ বিকেল ৪টে নাগাদ তদন্তকারী সংস্থাকে স্পিকারের সামনে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে আদালতের তরফে।

এই ইস্যুতে বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা কেন্দ্রীয় সালিসিটার জেনারেল তুষার মেহেতা উদ্দেশ্যে বলেন, অধ্যক্ষ সাংবিধানিক পদ। একজন সাংবিধানিক পদে থেকে যদি সিবিআই আধিকারিকদের ডেকে পাঠান তাহলে সিবিআই আধিকারিকদের সেখানে যাওয়া উচিৎ। তাঁর প্রশ্ন, সেখানে সিবিআই আটকাচ্ছে কেন? তাঁদের যাওয়া উচিৎ, কারণ তাঁদের বিরুদ্ধে তো কোন ব্যবস্থা নিতে ডাকেননি স্পিকার। আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, স্পিকারের সঙ্গে সহযোগিতা করা উচিৎ সিবিআই তদন্তকারী আধিকারিকদের। 

আসলে নারদা মামলায় রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিম সহ বিধায়ক মদন মিত্রের বিরুদ্ধে তদন্তকারী সংস্থা চার্জশিট দিয়েছে। এদিকে ইডির বিশেষ আদালত তাদের নামে সমন জারি করেছে। সেই সমন স্পিকারের মাধ্যমে অভিযুক্তদের কাছে পাঠানো হয় বিধানসভায়। কিন্তু স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, সমন পৌঁছানোর দায়িত্ব বিধানসভার নয় এবং অভিযুক্তদের কাছে সেই সমন পাঠাতে অস্বীকার করেন তিনি। এখানেই থেমে না থেকে ওই দুই তদন্তকারী সংস্থার চার্জশিট জমা প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি তোলেন তিনি। পরে দাবি করা হয়, চার্জশিট দেওয়ার ক্ষেত্রে যে আইন তা ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে! সেই প্রেক্ষিতেই তদন্তকারী সংস্থা, ইডি এবং সিবিআইয়ের ২ কর্তাকে তলব করার সিদ্ধান্ত নেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *