কলকাতা: এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি হয়েছে। তিন সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চের৷ আজ এই মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি দেখেছি শুধু মাত্র সিবিআই অনুসন্ধানে স্থগিতাদেশ হয়েছে। সম্পূর্ণ মামলায় নয়।’ সরকার পক্ষের আইনজীবী ভাস্কর বৈশ্য তার উত্তরে বলেন, ‘ডিভিশন বেঞ্চ সমস্ত নথি হাইকোর্টের রেজিস্টার জেনারেলের কাছে জমা করতে বলেছে। ডিভিশন বেঞ্চ মামলা শুনছে।
যদিও এদিন বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, তিনি কোনও হলফনামা নিতে চান না। তিনি বলেন, যদি বেআইনি ভাবে নিয়োগ হয়ে থাকে তাদের বেতন বন্ধ করতে হবে। সমস্ত প্রসিডিংস ওপর কোনও স্থগিতাদেশ নেই। যারা নিয়োগ হয়েছেন তাদের তালিকার সঙ্গে রেকমেন্ডেশন লেটার তালিকা জমা করেছেন আজ। এসএসসি সেই তালিকা পরীক্ষা করে দেখবে। এদিকে, আবেদনকারী দাবি করেছে, অর্থ দফতরকে তারা এই মামলায় সংযুক্ত করতে চায়। কারণ তারা গত ২ বছর ধরে বেতন দিয়ে গেছে। সেই প্রেক্ষিতে অর্থ দফতরকে মামলায় সংযুক্ত করার নির্দেশ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১০ ডিসেম্বর।
উল্লেখ্য, এসএসসি গ্রুপ ডি দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের বদলে প্রাক্তন বিচারপতিদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে অনুসন্ধানের পক্ষে ডিভিশন বেঞ্চে জোর সওয়াল করেছে রাজ্য। অন্যদিকে, গতকাল যে ২৫ জনের বেতন বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তাঁদের পক্ষের আইনজীবী শক্তি মুখোপাধ্যায় বলেন, একক বিচারপতির সিদ্ধান্ত দুঃখজনক। আমার মক্কেলদের বেতন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি বলেন, এটা কী করে সম্ভব? বেতন বন্ধ তো অথরিটি করবে। আপনারা কোনও চ্যালেঞ্জ করেননি? আইনজীবী শক্তি মুখোপাধ্যায় বলেন, আদালতের নির্দেশেই বেতন বন্ধ হয়েছে৷ আমরা জানতামই না। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জেনেছি।