কলকাতা: সারদার আমানতকারীদের টাকা ফেরাতে এক সদস্যের কমিটি গঠনের ভাবনা নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও কবে, কী ভাবে এবং কার নেতৃত্বে কমিটি গঠন হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি নেওয়া হয়নি এখনও। শ্যামল সেন কমিশনের দাখিল করা চূড়ান্ত রিপোর্ট এখনও কেন কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে পড়ে রয়েছে সে প্রশ্নও তুলেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। পাশাপাশি শ্যামল সেন কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার যে ১৩৮ কোটি টাকা ছিল এবং যা রাজ্য তার প্রয়োজনে ব্যবহার করেছে সেটা কেন সাধারণ আমানতকারীদের দেওয়ায় যাবে না, তাও জানতে চায় আদালত। এছাড়াও বিভিন্ন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সিবিআইয়ের হাতে যে পরিমাণ টাকা আছে তাও এক সদস্যের কমিটির কাছে পাঠানো যায় কিনা সে প্রশ্নও তুলেছেন বিচারপতিরা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ জুলাই।
ইতিমধ্যেই সারদা কাণ্ডে দেবযানী মুখোপাধ্যায়য়ের জামিন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেছে হাইকোর্ট। অসম, ভুবনেশ্বর সারদার মামলা থেকে মুক্তি না পেলেও এরাজ্যে তার বিরুদ্ধে মামলা গুলি থেকে মুক্তি দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। সারদার টুর অ্যান্ড ট্রাভেল মামলায় জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। ২০১৩ সালে ২২শে এপ্রিলের গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ২০১৪ সালে সারদা টুর অ্যান্ড ট্রাভেল মামলায় জেল হেফাজত হয় দেবযানীর। জামিন হলেও জেল মুক্তি নাও হতে পারে তাঁর।
আরও পড়ুন- নারদ মামলায় এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মুখ্যমন্ত্রী, সরলেন বাঙালি বিচারপতি
রাজ্যের অন্যতম বড় চিটফান্ড সারদা কেলেঙ্কারির মামলায় যাঁদের গ্রেফতার করা হয় তাঁদের মধ্যে সুদীপ্ত সেন ও দেবযানীই এখনও জেলে আছেন। কিছুদিন আগেই এই মামলা থেকে অব্যাহতি পান বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সম্প্রতি শর্তসাপেক্ষে জামিন মিলেছে অন্যতম অভিযুক্ত দেবযানীর। এই মামলাতেই বেশ কয়েকবার শুনানি পিছনোর আবেদন করেছিল সিবিআই। তাতে কলকাতা হাইকোর্ট ব্যাপক অসন্তুষ্ট হয়। অবশেষে এই রাজ্যের মামলা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে।