কলকাতা: RG KAR মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের পড়ুয়াদের বিক্ষোভ নিয়ে সমস্যা এখনও অব্যাহত। আপাতত যা পরিস্থিতি তাতে আদালতের নির্দেশ অমান্য হলে ফল ভোগ করতে হবে চিকিৎসক পড়ুয়াদের! আগামীকাল মামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এমনই জানিয়ে দিয়েছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। একই সঙ্গে তাঁর নির্দেশ, আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে নির্দিষ্ট রিপোর্ট জমা দিতে হবে মুখ বন্ধ খামে।
আজ অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে বলেন, RG KAR মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পড়ুয়াদের অনশনের জেরে বিঘ্নিত হচ্ছে হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা। চিকিৎসক পড়ুয়াদের কলেজ, হোস্টেল, বিদ্যুৎ, পড়াশোনা পরিবেশে থাকা সত্ত্বেও দিনের পর দিন বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আরও জানান, বিক্ষোভ কিছুটা কমলেও সারা হাসপাতালে খারাপ ভাষায় পোস্টার পড়েছে। প্রিন্সিপাল হাসপাতালে আসতে পারছেন না। ভার্চুয়ালে কাজ করছেন। এত খারাপ ভাষায় পোস্টার পড়েছে। পাশাপাশি প্রিন্সিপালকে হাসপাতালে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। হাসপাতালের বিদ্যুৎ নিয়েই বিক্ষোভ করছে। তাদের সব সমস্যার সমাধানে প্রস্তুত রাজ্য। কিন্তু তারা প্রিন্সিপালের অপসারণে অবিচল। এদিকে, আদালতের নির্দেশ মত তারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন না। ফলে আদালতের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে, ইন্টার্নদের পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য, ইন্টার্ন ও pgt ছাত্ররা কাজে যোগ দিলেও। MBBS ছাত্ররা এখনও বিক্ষোভ করে যাচ্ছে। আজকের দিনটা তাঁদের সময় দেওয়া হোক। আগামীকাল মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হোক। তবে তারা আদালতের নির্দেশ অমান্য করে কখনোই বিক্ষোভ করছে না। আদালতের নির্দেশ মেনেই এবং আদালতের অনুমতিতে বিক্ষোভ হচ্ছে। এও জানান তিনি।
প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের মন্তব্য, হাসপাতালে পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়া বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি দেখা হয় যে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বিক্ষোভ হচ্ছে তাহলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই প্রেক্ষিতে আগামীকাল এই মামলার শুনানি ধার্য করা হয়েছে। আসলে, RG KAR সুপার স্পেশালিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা নিতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ নিতে আসেন। বর্তমানে করোনা চিকিৎসা হয় হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন রয়েছেন অসংখ্য রোগী। চিকিৎসক পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।