কলকাতা: মুকুল রায়ের মামলায় বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট। সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি, এমনই মন্তব্য করা হয়েছে। মুকুল রায় ইস্যুতে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে একেবারেই সন্তুষ্ট নয় আদালত। জানান হয়েছে, মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে দায়ের হওয়া মামলার সঙ্গে PAC চেয়ারম্যান পদে থাকার বিষয়টি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বিধায়ক পদ খারিজের আবেদনটি তিন মাসের বেশি সময় ধরে পরে আছে। আগামী ৭ অক্টোবরের শুনানিতে অধ্যক্ষে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে বলেই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরেই আদালত পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।
আরও পড়ুন- কয়লা কাণ্ডে রাজ্যে প্রথম গ্রেফতার, CBI-এর জালে লালার চার সঙ্গী
এদিন এই ইস্যুতে আদালত জানিয়েছে, স্পিকার বেআইনি কাজ করেছেন। এমন একজনকে বেছে নেওয়া হয়েছে যিনি দল ছেড়েছেন। সত্যি যদি তাঁর পদ খারিজ হয়ে যায়, তাহলে তিনি বিধায়ক কী ভাবে থাকবেন। তাহলে চেয়ারম্যান হবেন কী ভাবে! স্পিকার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। মনে হচ্ছে কারও পরামর্শ মত কাজ করেছেন। উনি নিজের জালে নিজেই জড়িয়ে গিয়েছেন। সময়ের মধ্যে আবেদনের নিষ্পত্তি করার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা স্বত্তেও, স্পিকার এই ফাইল চেপে বসেছিলেন। প্রসঙ্গত, মে মাসে বিজেপি বিধায়ক হয়ে জুন মাসে তৃণমূল জয়েন করেন মুকুল রায় এবং জুলাই মাসে তাকে বিধানসভায় PAC-র চেয়ারম্যান করা হয়। তবে পদ খারিজের আবেদন করা হয়েছিল জুনেই। জুন মাসের ১৭ তারিখে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি জানান মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি দেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন- দায়িত্ব সামলানো সম্ভব নয়! বিজেপিকে ধাক্কা দিয়ে পদ ছাড়লেন সুমন
অন্যদিকে আবার, যে বিজেপি বিধায়করা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন, তাদের বিরুদ্ধে দলত্যাগী আইনে মামলা করতে কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিগত অনেক দিন ধরেই দলত্যাগ নিয়ে সরব হয়ে আসছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদেও দেখিয়েছে। সেই ইস্যুতেই গতকাল হাইকোর্টে যান শুভেন্দু।