কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত মামলার শুনানির জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠন কলকাতা হাইকোর্টের। এই বেঞ্চ গঠন করলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি। ৫ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ গঠন হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রাজ্যজুড়ে একাধিক হিংসার ঘটনা সামনে এসেছে। বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলছে। সেই প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টে একের পর এক মামলা আসতে থাকে যার শুনানি আজ সকাল থেকেই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলার শুনানিতে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে মামলার শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে আজ দুপুর থেকেই এই বিশেষ বেঞ্চে মামলার শুনানি শুরু।
গত ২ মে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় ভাঙচুর এবং উত্তেজনামূলক ঘটনা ঘটেছে। বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে তাদের কর্মীদের বিভিন্ন জায়গায় মারধর করা হচ্ছে এবং ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন খুন হয়েছেন। এর পাশাপাশি হাজার হাজার বিজেপি কর্মী বাংলা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন বলেও দাবি করা হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরের তরফে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে, যা ঘটছে তার থেকে অনেক বেশি ভুল খবর ছড়াচ্ছে বিজেপি এবং তার জন্য সাধারণ মানুষ বিভ্রান্তির শিকার হচ্ছেন। বিজেপির মত অনেক সময় করণীয় মারা গিয়েছেন এবং নির্বাচনী আবহের বিজেপির নেতারা যেভাবে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন সেই কারণেই এই হিংসার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাজ্যের হিংসা সম্পর্কে বলেন, একটা সরকার ক্ষমতায় এসেছে ২৪ ঘণ্টাও হয়নি, তারই মধ্যে বারবার চিঠি চলে আসছে, কেন্দ্রীয় দল চলে আসছে। জায়গায় জায়গায় বিজেপি হিংসা করছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। যদিও হিংসায় যারা মারা গিয়েছেন তাদের অর্থ সাহায্যের ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হিংসায় যারা মারা গিয়েছেন তাদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা সাহায্য করা হবে। যদিও বিজেপিকে এক হাত নিয়ে তাঁর বক্তব্য, যেখানে বিজেপি একটু বেশি আসন পেয়েছে সেখানেই গন্ডগোল হচ্ছে। কোচবিহারে হিংসা বেশী হচ্ছে। ওখানে উদয়ন গুহর হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। যদিও হিংসায় যারা জড়িত তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে না বলে দিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা।