১০ জানুয়ারির মধ্যে হলফনামা দিতে হবে রাজ্যকে, জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় নির্দেশ হাই কোর্টের

১০ জানুয়ারির মধ্যে হলফনামা দিতে হবে রাজ্যকে, জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় নির্দেশ হাই কোর্টের

কলকাতা: জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় তদন্ত প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ কলকাতা হাই কোর্টের। আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে তাদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত। সেই সঙ্গে আদালতের নির্দেশ, আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না।

 

 

এর আগের দিন শুনানির সময় বিজেপির আইনজীবী আদালতে বলেছিলেন, বিধানসভায় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার আগে কোনও ঘোষণা হয়নি। কোনও নোটিশও দেওয়া হয়নি। হঠাৎ করে বিধানসভায় কেউ জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে উঠলে অবমাননার অভিযোগ আনা যায় কি?  এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে তিনি জানান, ওই দিন তৃণমূল বিধায়করা শ্লোগান দিচ্ছিলেন, ‘গলি গলি মে সোর  হ্যায়, নরেন্দ্র মোদী চোর হ্যায়’৷ এরই মাঝে হঠাৎ করে জাতীয় সঙ্গীত শুরু করে দেওয়া হয়৷  এভাবে কি দেশকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা যায়? প্রশ্ন তাঁর৷ এ কথা শোনার পর বিচারপতির মন্তব্য, জাতীয় সঙ্গীতকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। রাজ্যের অভিযোগ মিথ্যা নয়। কিন্তু, এর জন্য কোনও এফআইআর করা যায় না।

এর আগে এই মামলায় ধমক দিয়ে বিচারপতি বলেছিলেন, ‘‘ধর্ষণের অভিযোগ থাকলে তার তদন্ত সঠিক ভাবে করে না পুলিশ এমন উদাহরণ অনেক আছে৷ সেখানে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা নিয়ে এত দ্রুত মামলা দায়ের করা হয় গেল? এই ধরনের ছেলেমানুষি মামলার জন্য একাধিক মামলা আটকে রয়েছে।’

 

 

গত ২৯ নভেম্বর ধর্মতলায় ছিল শাহী সভা৷ ওই দিন বিধানসভায় আম্মেদকর মূর্তির পাদদেশে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে ধরনায় বসেন তৃণমূলের বিধায়করা। সেই ধরনায় ‘মোদী ও শাহ চোর’ স্লোগান ওঠে। সেকথা জানতে পেরেই শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে সেখানে পৌঁছন বিজেপি বিধায়াকরা৷ তাঁরা পালটা চোর স্লোগান দিতে শুরু করেন। এদিন শ্লোগান শেষে জাতীয় সংগীত গাইতে শুরু করে দেন তৃণমূল বিধায়করা। সেই সময়ও চলছিল বিজেপি’র স্লোগান৷ এর পরই স্পিকারের কাছে বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূলের তিন মন্ত্রী।

 

যদিও রাজ্যের আইনজীবী কিশোর দত্ত এদিন আদালতে বলেন, কর্মসূচি শেষে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। সে কথা জানা সত্ত্বেও, বিজেপি বিধায়করা জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করেছেন। এই অভিযোগ দায়ের হতেই পারে।

দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি বলেন, সেদিন ঠিক কি ঘটনা ঘটেছিল তা জানার জন্য তদন্ত জরুরি। রাজ্য আগে আদালতে  হলফনামা দিয়ে পুরো বিষয়টা জানাক, তারপর মামলা শুনবো। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *