কলকাতা: এ বছর বন্ধ হয়ে যেতে পারে গঙ্গাসাগরে স্নান।করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে কলকাতা হাইকোর্ট, তার ইঙ্গিত মিলে গেল আজ। গঙ্গাসাগর মেলা এবং পুণ্যস্নানের স্থানকে কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতেই আদালতে তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্বাস পরে, আগে মানুষের জীবন। এই পরিপেক্ষিতে ইঙ্গিত মিলছে যে হয়তো এ বছর গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
গোটা পরিস্থিতি কী দাঁড়ায় সেটা নিয়ে এখন পর্যবেক্ষণে রয়েছে আদালত। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, বিশাল মানুষের সমাগম হবে গঙ্গাসাগর মেলায়। সেখানে কোনভাবেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয় এবং করোনাভাইরাস বিধি মানা সম্ভব নয়। মাস্ক ছাড়া সেখানে বহু ভক্তের সমাগম হলে ভাইরাস পরিস্থিতি সঙ্গীন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। কারণ যে কোন ব্যক্তির মুখ থেকে ড্রপলেট জলে মিশবে, সেই জল অন্য কেউ ব্যবহার করবে অনায়াসে। যদি কেউ মাস্ক পড়েও জলে ডুব দেয় তা সত্বেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে থেকেই যায়। কারণ ওই ভাবে ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে গঙ্গাসাগরে স্নানে নারাজ কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি প্রয়োজনে গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হতে পারে।
এর আগে দুর্গাপূজা, কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো এবং ছট পূজার সময় একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বড়দিন এবং নতুন বছরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলাতেও। সব দিক খতিয়ে দেখে কলকাতা হাইকোর্ট অবশেষে কী রায় দেয় এখন সেই দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে। ইতিমধ্যেই বহু পুণ্যার্থী এসে গিয়েছেন শহরে। যেসব জায়গায় তারা রয়েছেন সেসব জায়গায় বেশিরভাগ মানুষ মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তাই ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই ক্ষেত্রে এই বিরাট সমাগমে যদি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় তাহলে অবাক হবার থাকবে না।