শহরজুড়ে কেকের ফিউশনের ছড়াছড়ি। তবে আজও নিজের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে বেশ কয়েকটি বেকরি। তার মধ্যেই একটি হল নিউমার্কেটের নাহুমস। শহরের কেক রসিকদের মধ্যে তার চাহিদা এখনও আকাশছোঁয়া। সময়ের সঙ্গে স্বাদে আসেনি তেমন কোনও বদল। দোকানের ভোল বদলে, ঝাঁ চকচকে হয়েছে অনেক কনফেকশনারি। মেঝে থেকে শুরু করে দেওয়াল, সবেতেই এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। কিন্তু নিউমার্কেটের নাহুমসকে দেখা যায় সেই পুরনো আঙ্গিকে। বড় বড় লাল শাটার, সিলিং থেকে ঝোলানো লম্বা ফ্যান, স্বচ্ছ কাঁচের ভিতর থেকে রং বেরঙের কেকের হাতছানি। সরু গলির মধ্যে দিয়ে গেলে নাকে ভেসে আসে কেকের হরেক রকমের গন্ধ। আগে সব লেনদেনই হত নগদে। সম্প্রতি কার্ডেও গ্রহণ করছে তারা। এক বাগদাদী ইহুদি নাহুম ইসরায়েল মর্ডেকাইর হাত ধরে ১৯০২ সাল থেকে শুরু নাহুমের পথচলা। এই মুহূর্তে কলকাতার বুকে ইহুদি জনসংখ্যাটা নগন্য। কিন্তু সেই সময় এই শহরেই বাস ছিল ৪ থেকে ৬ হাজার ইহুদির। সেটা ছিল বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগ। তখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে কেক পৌঁছে দিত নাহুম। কেকের এমন স্বাদ মন জয় করেছিল তখনকার ঔপনিবেশিক শাসকদেরও। তখন থেকেই নিউমার্কেটের এই জায়গা থেকে শুরু হয়েছিল পথচলা। আজও একই রয়ে গেছে ঠিকানা। পুরনো দিনের সেই কাঁচের কেকের ব়্যাকেও বদল আসেনি। ফ্রুট কেক হোক বা পাম কেক, টার্ট হোক বা ম্যাক্রোনস স্বাদে-গন্ধে আজও অতুলনীয়। ২০১৩ সালে প্রয়াত হন নাহুমের তৃতীয় প্রজন্মের একমাত্র সদস্য ডেভিড নাহুম। অনেকেই মনে করেছিলেন এবার হয়ত বন্ধ হয়ে যাবে ঐতিহ্যবাহী বেকারির ঝাঁপ। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। আগের মতই নিজের ঐতিহ্যকে আগলে রেখে কেকবিলাসীদের মন জয় করে চলেছে শহরের এই শতাব্দী প্রাচীন বেকরির উত্তরসূরীরা।
শহরজুড়ে কেকের ফিউশনের মাঝেও চলছে ঐতিহ্য ধরে রাখার লড়াই
শহরজুড়ে কেকের ফিউশনের ছড়াছড়ি। তবে আজও নিজের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে বেশ কয়েকটি বেকরি। তার মধ্যেই একটি হল নিউমার্কেটের নাহুমস। শহরের কেক রসিকদের মধ্যে তার চাহিদা এখনও আকাশছোঁয়া। সময়ের সঙ্গে স্বাদে আসেনি তেমন কোনও বদল। দোকানের ভোল বদলে, ঝাঁ চকচকে হয়েছে অনেক কনফেকশনারি। মেঝে থেকে শুরু করে দেওয়াল, সবেতেই এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। কিন্তু নিউমার্কেটের নাহুমসকে দেখা