আমফান ‘দুর্নীতির’ তদন্তে ক্যাগ, ‘তদন্ত বিলম্বিত’ হওয়া অভিযোগ হাইকোর্টে

আমফান ‘দুর্নীতির’ তদন্তে ক্যাগ, ‘তদন্ত বিলম্বিত’ হওয়া অভিযোগ হাইকোর্টে

1632bd146a95aa1ed770383543b70915

 

কলকাতা: আমফান মামলায় ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসেছেন ক্যাগ কর্তারা। তারা তথ্য চাইছেন রাজ্যের কাছে।তবে এই মূহুর্তে সব তথ্য দেওয়া সম্ভব নয় কারণ অর্থবর্ষ শেষ হয়নি। এজন্যই ১৬ জেলার জেলা শাসক তা দিতে পারছেন না বলেও আদালতে জানায় রাজ্য। এদিন আমফান মামলায় ক্যাগের তদন্তের পুনর্বিবেচনা মামলায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আগামী সোমবার শুনানির দিন ধার্য করেছেন। ক্যাগের আধিকারিকরা কত দিনে রিপোর্ট দিতে পারবে তা সোমবার জানাতে নির্দেশ।

এর আগে আমফান ত্রাণ বিলি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছিল, তদন্ত রিপোর্ট তিন মাসের মধ্যে জমা দিতে হবে। আদালতের সেই নির্দেশ মেনেই জেলায় জেলায় ঘুরে আমফানের ত্রাণ বিলির অডিট করতে চায় ক্যাগ। কিন্তু প্রশাসনের তরফে বলা হচ্ছে অন্য কথা। অর্থবর্ষ শেষ না হওয়ার কারণে সব তথ্য দেওয়া যাচ্ছে না বলে যেমন জানান হয়েছে, অন্যদিকে জানা গিয়েছে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি যে দিন নবান্নে এসে অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন, তার পরই তাঁর সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ফলে বাকিরা এখন আইসোলেশনে। তাই এখনই এই ব্যাপারে অডিট করা সম্ভব হবে না বলেই বক্তব্য সরকারের। তবে ক্যাগের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে যে, ইচ্ছাকৃতভাবেই তদন্তে দেরি করাচ্ছে রাজ্য সরকার।

এর আগে বিরোধীরা, মূলত বিজেপি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল যে কেন্দ্রীয় সরকার ঘূর্ণিঝড়ের পরবর্তী ক্ষেত্রে ত্রাণের জন্যে যে অর্থ পাঠিয়েছিল তা নিয়ে দুর্নীতি করেছে সরকার। ভুক্তভোগীদের একাংশকে টাকা না দিয়ে সেই টাকা বিলি করা হয়েছে দলের কয়েক জনের মধ্যে। আমফান দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এমনকি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও অভিযোগ তুলেছেন। এদিকে একাধিক অভিযোগে জর্জরিত হওয়ার পর রাজ্য সরকারের তরফে পাল্টা প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন এই টাকার হিসেব বারংবার চাওয়া হচ্ছে, ওদিকে পিএম কেয়ার ফান্ডের অডিট নিয়ে কোনও কথা বলা হচ্ছে না। উল্লেখ্য, সিএজির লোকাল অডিট শাখা এই তদন্ত করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *