৫০% মানুষের বিশ্বাস মোদীর বিকল্প নেই, মমতাকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান মাত্র ৮%: সমীক্ষা

৫০% মানুষের বিশ্বাস মোদীর বিকল্প নেই, মমতাকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান মাত্র ৮%: সমীক্ষা

 

কলকাতা: আর কয়েক সপ্তাহ পরেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। কে জিতবে, কে হারবে, তা‌ জানার জন্য বেশ কিছুটা সময়ের অপেক্ষা করতেই হবে। কিন্তু তার আগে একাধিক সমীক্ষায় ভোটের ফল কোনদিকে যাবে সেই ব্যাপারে ইঙ্গিত দেওয়া হয়। সামগ্রিক ভাবে কে এগিয়ে, বিজেপি না তৃণমূল কংগ্রেস, কে বেশি জনপ্রিয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সেই নিয়ে গোটা দেশজুড়ে কমপক্ষে ৩০,০০০ ভোটারের সঙ্গে কথা বলে সমীক্ষা গঠন করেছে এবিপি আনন্দ ও সি ভোটার। 

সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, করোনাভাইরাস নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পারফরমেন্সে খুশি হয়েছেন ৫১ শতাংশ মানুষ, অন্যদিকে অখুশি ৩২ শতাংশ মানুষ। এদিকে কৃষক আন্দোলন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে, এই প্রশ্নের উত্তরে ৫২ শতাংশ মানুষ মনে করছেন কেন্দ্রীয় সরকারের ভাবমূর্তি ধাক্কা খেয়েছে। এদিকে ৩৪ শতাংশ মানুষ মনে করছেন কেন্দ্রীয় সরকারের ভাবমূর্তি আগের মতোই দৃঢ় রয়েছেন। এদিকে আরো একটি প্রশ্ন করা হয়, বর্তমানে দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কোন বিকল্প আছে কিনা। সেই প্রশ্নের উত্তরে ৫০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন কোন বিকল্প নেই। এদিকে ৩৫ শতাংশ মানুষ বলেছেন অবশ্যই বিকল্প আছে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে কোন বিরোধী নেতা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে টক্কর দিতে পারেন এই প্রশ্নের উত্তরে জানা গিয়েছে, ৪৪ শতাংশ মানুষ মনে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং রাহুল গান্ধীর মধ্যে কেউ প্রধানমন্ত্রীকে টক্কর দিতে পারবে না। কে টক্কর দিতে পারেন এই প্রশ্নে রাহুল গান্ধী ভোট পেয়েছেন ২৬ শতাংশ, অরবিন্দ কেজরিওয়াল ভোট পেয়েছেন ২২ শতাংশ এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট পেয়েছেন সবচেয়ে কম, ৮ শতাংশ। 

এদিকে রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর মধ্যেকার কংগ্রেস সভাপতি হওয়া উচিত সেই প্রশ্নের উত্তরে জানা গিয়েছে, ৩৫ শতাংশ মানুষ চান প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কংগ্রেস সভাপতি হন, ৩২ শতাংশ মানুষ যেমন রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতি হন। ৩৩ শতাংশ কাউকেই এই পদে দেখতে চান না। এদিকে এই মুহূর্তে লোকসভা নির্বাচন হলে কোন দল জিতবে সেই প্রশ্নের উত্তরে জানা গিয়েছে, ৫৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন এনডিএ জিতবে, ২৮ শতাংশ মনে করেন ইউপিএ জিতবে, ১৪ শতাংশ মনে করেন তৃতীয় ফ্রন্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *