বজবজ: প্রতি সপ্তাহেই নিয়ম করে একদিন তার গ্রামের বাড়ি সারেঙ্গাবাদ আসতেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ছোটবেলার বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে চায়ের দোকানে বসে চলত দেদার আড্ডা। বজবজের এই গ্রামের পৈত্রিক ভিটে বাড়ি থেকে রাজনৈতিক জীবনের পথ চলা শুরু করেন প্রায়ত মন্ত্রী। আর চায়ের আসরে বসেই বহু মানুষের মুশকিল আসান করতেন তাদের প্রিয় সুব্রতদা। এলাকায় মাস্টারমশাই হিসেবেও তার যথেষ্ট নামডাক রয়েছে। কারণ কলেজ ছাড়ার পর তিনি এলাকার বহু ছাত্র-ছাত্রীদের টিউশন দিতেন।
প্রতিবছরই দীপাবলিতে তার উপস্থিতিতেই তুবড়ি প্রতিযোগিতা হত এলাকায়। ছোট-বড় সমস্ত পূজার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন প্রয়াত রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এবছর যেন দীপাবলীর আলোর রোশনাইয়ের মাঝখানে অন্ধকার করে চলে যাওয়ার খবর শুনে রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তার পরিচিত কাছের মানুষরা। সেই সমস্ত স্মৃতির পাতা উল্টে আজ চোখের জলে বিদায় জানাচ্ছেন বজবজের সারেঙ্গাবাদে মানুষ।
দলের রাজ্য কমিটির সদস্য তথা গ্রামের বাসিন্দা প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলছিলেন, ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে বড় হওয়া৷ আমার রাজনৈতিক জীবনের শিক্ষক সুব্রত দা। প্রতিবছর কালীপুজোয় এই সারেঙ্গাবাদ আসতেন তিনি। দাদার হাত ধরে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন ঘটেছে। এলাকায় পানীয় জল থেকে শিক্ষার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছেন দাদা। এলাকা মাস্টারমশাই হিসাবেও ওঁনার যথেষ্ট নাম ছিল। বড় ভাল মানুষ ছিলেন কিন্তু এভাবে চলে যাবেন, সেটা আমরা এখনও মেনে নিতে পারছি না।