কলকাতা: প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে কেন্দ্রীয় সরকার পদ্ম পুরষ্কারের তালিকা প্রকাশ করেছিল। জানা গিয়েছিল যে, বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পদ্মভূষণ পাচ্ছেন। কিন্তু এই খবর প্রকাশ্যে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জানা যায় যে, বুদ্ধদেব সেই পদ্ম পুরষ্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন। হইহই শুরু হয়ে যায় চারিদিকে। শুরু হয় রাজনৈতিক তরজাও। ময়দানে নেমে পড়ে বিজেপি, তৃণমূল। একদিকে যেমন এই ইস্যুতে আক্রমণ শানান হয় সিপিএম নেতৃত্বকে, অন্যদিকে, বিজেপি-সিপিএম আঁতাতের ফলেই এই সিদ্ধান কেন্দ্রের এমন দাবিও তোলা হয়। এই আবহেই এবার মুখ খুললেন স্বয়ং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সিপিআইএম–এর মুখপত্র গণশক্তি পত্রিকায় তাঁর বক্তব্য পেশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ঢুকছে উত্তুরে হাওয়া, হু হু করে নামবে পারদ, হাড় কাঁপানো শীতের ইঙ্গিত হাওয়া অফিসের
যেদিন পদ্ম সম্মানের কথা ঘোষণা হয়েছিল সেদিন বুদ্ধবাবু জানিয়েছিলেন যে, তিনি এই ব্যাপারে কিছুই জানেন না, আর তিনি এই সম্মান প্রত্যাখ্যান করছেন। তারপর থেকেই রাজ্য-রাজনীতিতে হইচই। কিন্তু এই ইস্যুতে পুনরায় মুখ খুলে বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আগে থেকে এই পদ্ম সম্মানের ব্যাপারে তিনি জানলেও এই পুরষ্কার তিনি প্রত্যাখ্যানই করতেন। আগে জানানো হয়েছে কী হয়নি সেটা বিষয় নয়। জানলেও তিনি এই পুরষ্কার নিতেন না বলেই স্পষ্ট করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এতএব বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস যে দাবি করছিল তা কার্যত নস্যাৎ করে দিলেন খোদ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তবে শুধু রাজনৈতিক দল নয়, এই পদ্ম সম্মান ইস্যুতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বাংলাদেশের লেখিকা তসলিমা নাসরিন৷ পুরনো একটি ঘটনা মনে করিয়ে তাঁকে খোঁচা দিয়েছিলেন তিনি।
একদা তাঁর বই ‘দ্বিখণ্ডিত’ নিষিদ্ধ করেছিল বাম সরকার৷ সেই সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য৷ মৌলবাদীদের আক্রমণের ভয়ে কলকাতা ছাড়তে হয়েছিল তসলিমাকে। এর পর গঙ্গা দিয়ে বহু জল গড়িয়েছে৷ কিন্তু বুদ্ধদেব কিংবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেউই তসলিমাকে রাজ্যে ফেরানোর চেষ্টা করেননি৷ আর বুদ্ধদেব পদ্মভূষণ ফেরাতেই পুরনো প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা দেন লেখিকা।