কলকাতা: গত ২৯ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে তাঁকে নিয়ে অনেক চাপানউতোর হয়েছে। অনুগামী থেকে শুরু করে রাজ্যের সাধারণ নাগরিক, সকলেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। কিন্তু রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সব বাধা কাটিয়ে বুধবার বাড়ি ফিরেছেন। টানা ১১ দিনের চিকিৎসা, মেডিক্যাল বোর্ডের বৈঠক, শারীরিক কষ্ট ছাপিয়ে এখন চরম স্বস্তিতে বুদ্ধ। বাড়ি ফেরার পর তাঁকে চোখেমুখেও সেই ছাপ লক্ষ্য করা গিয়েছে।
বুধবার পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটে দুপুর নাগাদ চলে এসেছেন তিনি। অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নামানোর সময় বুদ্ধদেবের একটু অস্বস্তি হয়েছিল বলে জানা যায়। কিন্তু তারপর সব ঠিক। জানা গিয়েছে, অ্যাম্বুল্যান্স পাম অ্যাভিনিউয়ের কাছাকাছি পৌঁছতেই চিকিৎসকরা তাঁকে সে কথা জানান। অ্যাম্বুল্যান্সে শুয়েই বুদ্ধদেব স্বস্তিতে বলেন, ‘‘আচ্ছা।’’ তাঁর শারীরিক যে উন্নতি হয়েছে শেষ কয়েক দিনে তা নিয়ে বেশ খুশি চিকিৎসকরাও। এর আগে মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা সংবাদমাধ্যমের সামনেও সে কথা বলেছিলেন। আজ তাদের অনুভূতিতে তা স্পষ্ট।
তবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে বাড়ি পাঠানোর আগে চিকিৎসকদের একটি দল ঘুরে দেখে এসেছে তাঁর এক কামরার ঘর৷ কোন জায়গায় বুদ্ধবাবুর বিছানা রাখা হবে, কোন জায়গায় থাকবে চিকিৎসার সরঞ্জাম তা আগেই ঠিক করা হয়েছে। এছাড়া তাঁর বাড়িও স্যানিটাইজ করা হয় যাতে নতুন করে কোনও সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়তে পারে। অন্যদিকে, তাঁর জন্য একটি নতুন বাইপ্যাপের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে রাখা হয়েছে ‘কার্ডিয়াক মনিটর’ , যাতে অক্সিজেনের মাত্রা ওঠানামা, রক্তচাপ, হৃদস্পন্দন সব কিছুর যথাযথ মূল্যায়ন করা যায়।