তাঁর ব্যক্তিত্ব তাঁকে করে তুলেছিল ‘ব্র্যান্ড বুদ্ধ’, আজীবন ‘বাবু’ই থাকলেন বুদ্ধদেব

কলকাতা: বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণে ঘটে গেল একটা যুগের অবসান৷ বাম জমানার শেষ সেনাপতি ছিলেন তিনি৷ ১৯৪৪ সালের ১ মার্চ কলকাতায় জন্ম বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের৷ যদিও পূর্বপুরুষের…

buddha died2

কলকাতা: বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণে ঘটে গেল একটা যুগের অবসান৷ বাম জমানার শেষ সেনাপতি ছিলেন তিনি৷ ১৯৪৪ সালের ১ মার্চ কলকাতায় জন্ম বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের৷ যদিও পূর্বপুরুষের আদি নিবাস বর্তমান বাংলাদেশ৷ তাঁর কাকা ছিলেন বিখ্যাত বাঙালি কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য৷ বরাবরই বামপন্থায় বিশ্বাসী বুদ্ধদেব একদিকে যেমন দক্ষ রাজনীতিক ছিলেন, তেমনই ছিলেন সাহিত্য প্রেমী। শৈলেন্দ্র সরকার বিদ্যালয় থেকে স্কুল জীবন শেষ করার পর বাংলা নিয়ে ভর্তি হন প্রেসিডেন্সি কলেজে (অধুনা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়)৷ তারপর সরকারি স্কুলে শিক্ষকতার মধ্যে দিয়ে কর্মজীবন শুরু হয় তাঁর৷

 

এক সময় কবাডি খেলতেন। খেলতেন ক্রিকেটও। তবে চোখের সমস্যার জন্য  ক্রিকেট ছাড়তে হয়। কিন্তু ক্রিকেট নিয়ে রোম্যান্টিসিজম যায়নি। ঠিক এই কারণেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিল তাঁর সখ্য৷

১৯৬৬ সাল থেকে সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ৷ সিপিএমের প্রাথমিক সদস্যপদ নেন বুদ্ধবাবু৷ ১৯৭২ সালে সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ১৯৭৭ সালে বিধানসভা ভোটে প্রথম লড়াই শুরু। সেই থেকে ২০১১-সালে পালা বদলের আগে পর্যন্ত জয়যাত্রা অব্যাহত ছিল তাঁর। তথ্য সংস্কৃতি দফতর থেকে পর্যটন, নগরোন্নয়ন-বিভিন্ন সময় রাজ্যের বিভিন্ন দফতর সামলেছেন তিনি। তবে সবের মধ্যে নজর কেড়েছিল তাঁর ব্যক্তিত্ব৷

পরনে সাদা ধবধবে ধুতি-পাঞ্জাবি, বাঁদিকে পাট করে আঁচড়ানো চুল, সতর্র শব্দ চয়ন, গলার স্বরের গাম্ভীর্য,  তাঁকে করে তুলেছিল ‘ব্র্যান্ড বুদ্ধ’। রাজনৈতিক জীবনে বিতর্ক এসেছে৷ তবে তিনি আজীবন থেকে গিয়েছেন  ‘বুদ্ধবাবু’ হয়েই৷ অতি বড় বিরোধী রাজনীতিকও তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে গিয়েও ‘বাবু’ ছাড়া সম্বোধন করেনি। এটাই হয়তো ‘ব্র্যান্ড বুদ্ধ’র ক্যারিশমা।