কলকাতা: প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে ফের বড়ধর ধাক্কা খেল কেন্দ্র। সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে ‘পদ্মভূষণ’ ফিরিয়ে দিলেন বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। পদ্মশ্রী ফেরালেন ‘অপমানিত’ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়! আজ রাতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় দু’জনেই তাঁদের পরিবারের মাধ্যমে এই পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আজ দুপুরে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কেন্দ্রের তরফে যোগাযোগ করা হয়। সরকারি ভাবে বার্তা আসার পরই রাতেই সেই পুরুস্কার প্রত্যাখ্যান করার কথা ঘোষণা করা হয়।
আচমকাই পদ্মশ্রী পুরষ্কার ফেরালেন প্রবাদপ্রতিম সঙ্গীত শিল্পী গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। প্রচণ্ড অপমানিত এবং অসম্মানিত বোধ করে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে বা কেন অপমানিত বোধ করলেন তিনি? জানা গিয়েছে, তাঁকে ফোন করে এমনভাবে পদ্মশ্রী নেওয়ার ‘প্রস্তাব’ দেওয়া হয়েছে তাতেই তিনি অপমানিত বোধ করেছেন। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের পরিবারের তরফে জানান হয়েছে, আচমকাই ফোন করে এই সম্মান দেওয়া হবে বলে জানান হয় কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। না জানিয়ে এভাবে পুরষ্কার ঘোষণা করা অসম্মানের বলেই মনে করছেন তারা। তাছাড়া আরও একটি প্রশ্ন তারা তুলেছেন যে, এত দেরিতে কেন এই পুরষ্কার দেওয়ার কথা মনে পড়ল? শিল্পীর মেয়ে মনে করছেন যে, এই বয়সে তাঁর মা, যিনি এত বড় মাপের একজন শিল্পী, যিনি বাংলার সঙ্গীত জগতের বর্তমানে সবচেয়ে সিনিয়র, তাঁকে এখন পদ্মশ্রী দেওয়াটা অপমান ছাড়া আর কিছু নয়। তাই তারা মোদী সরকারের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। সূত্রের খবর, এইভাবে ফোন করে এই সম্মান দেওয়ার কথা জানান হয়েছে দেখে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় নিজেও প্রচণ্ড অখুশি হয়েছেন এবং তাঁর এই ব্যাপারটাই অপমানজনক লেগেছে। একই ভাবে বুদ্ধদেববাবুর পরিবারের তরফেও ব্যক্তিগত কারণে প্রত্যাখ্যানের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। বিবৃতি দিয়ে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, পদ্মভূষণ পুরস্কার তাঁর কিছুই জানা ছিল না। কেউ কিছু বলেনি৷ তাঁকে পদ্মভূষণ পুরস্কার কেন্দ্রীয় সরকার দিয়ে থাকলে তা তিনি প্রত্যাখ্যান করছেন৷