আজ বিকেল: দেশ বিপন্ন, দেশের সম্প্রীতি বিপন্ন দেশের মানুষ আজ প্রতিবাদ করলেই দেশদ্রোহীর তকমা পাচ্ছে। পাকিস্তানি বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ফারুক আবদুল্লা। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, শুধু মোদিকে তাড়ানো নয়, দেশকে বাঁচাতে হবে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ফের স্বাধীনতার মঞ্চে আসীন গোটা ভারত মহাজোটের হাত ধরে বিজেপিকে তাড়ানোর সময় ধরে রয়েছে। প্রথমে দেশের নেতাদের জোটবদ্ধ হবে, এই দেশকে বাঁচাতে হলে সবাইকেই ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। জম্মু কাশ্মীকে দেখুন, বিজেপি এর জন্য দায়ী। মুসলমান আমি ধর্মে জাতিতে ভারতীয়। কাশ্মীরীদের শুধু সমস্যা ও ভোগান্তি দিয়েছে বিজেপি। সারা দেশে ভালবাসা সম্প্রীতি বাঁচাতে হলে বিজেপিকে তাড়াতে হবে। তাই উনিশের নির্বাচনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে হবে। ইভিএম চোর মেশিন, ব্যালটেই ভোট হবে। ইভিএমে ভোট হেল কারচুপি হবে, তাই তা বন্ধ করা উচিত। নতুন সরকার দেশের সম্প্রীতি বজায় রাখবে এই আশা রাখি। মহিলাদের অধিকার পূর্ণ করার জন্য আইন পাশ করবে। প্রথমে বিজেপিকে তাড়াও তারপর দেখা যাবে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন।
দেশ বিপদে আছে, কৃষক সমস্যায় রয়েছে, দেশের যুব সমাজ বিপথে চলে যাচ্ছে, ব্যবসায়ীরা লোকসানে দিন কাটাচ্ছেন। সাত কোটি লোক নোট বাতিল ও জিএসটির বদান্যতায় বেকার হয়ে গিয়েছেন। বিজেপি দুকোটি লোককে চাকরি দেওয়ার মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল,কিন্তু বেকারদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দেশের স্বাধীনতায় বাঙালিরা যা ত্যাগ স্বীকার করেছে তা গোটা দেশ মিলে করতে পারেনি। এবার বিজেপির বিরুদ্ধে গিয়ে দেশকে বাঁচাতে সমস্ত রাজনৈতিক দল বাংলার মঞ্চে এেসে দাঁড়িয়েছে, একটাই আশা ফের জেগে উঠবে বাংলা। দেশের স্বাধীনতা বাঁচাতে বাংলাকেই এগিয়ে আসতে হবে। মহাজোটের মঞ্চ থেকে গোটা বাংলাকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানালেন শরদ যাদব। রাফালে কেলেঙ্কারি নিয়েও বিজেপিকে তুলোধনা করেন এই বর্ষীয়ান নেতা।
কংগ্রেস নেতা অভিষেক সিঙ্ঘভির মতে মহাজোট যেন রামধনুর সাত রং। দুর্নীতি পরায়ণ বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে এবার রামধনু একজোট হয়েছে। আগামী লোকসভায় জিততে হলে বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হতে হবে। শুধু জোট নয়, ভোট কেন্দ্রে বিজেপির বিরুদ্ধে মহাজোটের একজন প্রার্থী রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এই সরকারের মধ্যে প্রবল প্রতিশোধ স্পৃহা রয়েছে, দ্বিচারিতায় বিজেপির অন্যতম কাজ। মমতার প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। ভোট বিভাজনকে রুখতে হবে, তাহলেই বিজেপিকে দিল্লির মসনদ থেকে তাড়াতে হবে। বার বার মহাজোট নিয়ে কটাক্ষ করে এসেছেন নরেন্দ্র মোদি। এদিকে সেই তিনিই কাশ্মীর নিয়ে অনৈতিক জোট করেছেন, তানিয়ে কখনও তো মুখ খোলেননি। জম্মুতে এক সরকার আবার শ্রীনগরে অন্য সরকার।