কলকাতা: আগামী লোকসভা নির্বাচনে মোদি বিরোধী জোটের সলতে পাকানোর কাজ শুরু হয়েছিল অনেক আগেই৷ এবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সেই জোটের রণকৌশল চূড়ান্ত হতে চলেছে আজ, শনিবার ব্রিগেড ময়দানে ঐতিহাসিক সমাবেশের মধ্যে দিয়ে৷ ‘ডাক দিয়েছেন মমতা, ব্রিগেড চলো জনতা’ এই স্লোগান নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে ব্রিগেড সমাবেশ৷ ব্রিগেডের জনসমুদ্রকে সম্বোধন করে মোদির বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় বার্তা দিলেন মহাজোটের তাবড় নেতারা৷
শনিবার মমতার ডাকা ব্রিগেড সমাবেশে উপস্থিত হয়ে মোদির বিরুদ্ধে মুখ খুললেন বিদ্রোহী বিজেপি এমপি শত্রুঘ্ন সিনহা৷ মঞ্চে উঠেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহ বাড়িয়ে বলেন, ‘‘আপনাদের মধ্যে আমি মমতা দিদির তেজ দেখতে পাচ্ছি৷’’ এদিন বিহারি বাবু সাফ জানিয়ে দেন, ‘‘আমি বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছিলাম৷ কিন্তু, আমাকে বলতে দেওয়া হয়নি৷ দলে প্রতিবাদ করলেই বহিষ্কার করে দেয় বিজেপি৷ আমরা কিন্তু, থেমে থাকিনি৷ কারণ, পার্টির থেকে আমরা দেশ বড়৷ এর সঙ্গে কোনও সমঝোতা হবে না৷’’ এদিন বলেন, ‘‘দেশ চালানোর জন্য এখন নতুন নেতৃত্ব চাইছেন দেশবাসী৷’’ নোটবন্দির সমালোচনা করে বলেন, ‘‘রাতারাতি নোটবন্দির ডাক দেওয়া হল কেন? অর্থমন্ত্রীকে না জানিয়ে নোটবন্দি কীভাবে হল? রাতারাতি কোথায় গেল কালো টাকা?’’ বলেন, ‘‘যে নরেন্দ্র মোদি জিএসটি নিয়ে বিরোধিতা করেছিলেন, তিনিই কেন দেশে এই ব্যবস্থা চালু করলেন? এবার জবাব মোদিকে দিতে হবে৷’’ রাফাল নিয়ে বলেন, ‘‘দেশের বিমান নির্মাণকারী সরকারি সংস্থাকে টেন্ডার না দিয়ে কেন বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়া দেওয়া হল? এই প্রশ্নের উত্তর না দেওয়া পর্যন্ত মোদিকে শুনতে হবে, চৌকিদার চোর হে৷’’