বিজেপির রথযাত্রায় অনুমতি দিল না রাজ্য৷ আজ, শনিবার রাতে নবান্নের তরফে চিঠি পাঠিয়ে রাজ্যের তরফে বিজেপির রথযাত্রায় অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ রথযাত্রা হলে রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ তবে, রাজ্যের চিঠি পাওয়া মাত্রই রাজ্যের বিরুদ্ধে ফের আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে গেরুয়া শিবির৷ রাজ্য সরকার অনুমতি দিক অথবা না দিক, রথযাত্রা হবেই বলে আজ সাফ জানিয়ে দিয়েছে অনিন্দ্য মিত্র৷ আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি আগামী সোমবার থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে আইন অমান্য কর্মসূচি পালনের ঘোষণা করেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব৷
বিজেপি সূত্রে খবর, এদিন রাজ্যের তরফে দেওয়া চিঠি ইতিমধ্যেই দিল্লিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ রথযাত্রা নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নেবে বলে জানা গিয়েছে৷ তবে, রাজ্যের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই যে থামবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷
স্পর্শকাতর বা মিশ্র স্পর্শকাতর জায়গা দিয়ে বিজেপির রথ নিয়ে যাওয়া চলবে না বলে এদিন সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়৷ আজ, শনিবার বৈঠকে বসেন নবান্নের প্রশাসনিক কর্তারা। সূত্রের খবর, রাজ্যে কোনওভাবে বিজেপির এই কর্মসূচি ঘিরে ঝামেলা বা অন্য কোনও হিংসার পরিস্থিতি না হয়, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত৷ এমনকী, ৪২ দিনের কর্মসূচির পরিবর্তে ১৪ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করা নিয়েও একপ্রস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ রথযাত্রার নামও বদলের কথাও জানানো হয়৷ যদিও আগের দিনই বিজেপি শিবির এই কর্মসূচিকে, ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’-এর নামে ঘোষিত করেছে৷ একইভাবে বলা হবে, গঙ্গাসাগর মেলা ও বড়দিনের উৎসবের দিনে কর্মসূচি স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়৷ রাজ্য পুলিশের ডিজি, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বিজেপির প্রতিনিধি দল৷ পরে, আজ চিঠি হাতে পেতেই রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হন বিজেপির নেতা-কর্মীরা৷