বনগাঁ: মুম্বইয়ে বোমা বিস্ফোরণ ও প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ছক-সহ একাধিক রাষ্ট্রদোহিতার অপরাধে লস্কর-ই-তইবার জঙ্গিনেতা শেখ আবদুল নইমকে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল বনগাঁ মহকুমা আদালত৷
এর আগেও জম্মু-কাশ্মীরের সেনা ছাউনির উপর হামলার ছক এবং ভারতে জঙ্গিঘাঁটি তৈরির অপরাধে দুই পাকিস্তানি-সহ তিন লস্কর-ই-তোইবা জঙ্গির ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেছিল বনগাঁ মহকুমা আদালত৷ ওই একই মামলায় ধৃত মূল অভিযুক্ত লস্কর-ই-তোইবার জঙ্গি নেতা শেখ আবদুল নইম ওরফে সমীরকেও দোষী সাব্যস্ত করে বনগাঁ মহকুমা আদালত৷ আজ, ছিল সাজা ঘোষণার দিন৷ দীর্ঘ শুনানির পর বনগাঁ মহকুমা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক-১ কোর্টের বিচারক লস্কর জঙ্গিনেতা নইমকে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেন৷
পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালের ৪ এপ্রিল শেখ আবদুল নইম ওরফে সমীর, মুজাফ্ফর আহমেদ রাঠের, আবদুল্লা এবং মহম্মদ ইউনুস নামে লস্করের চার জঙ্গিকে পেট্রাপোল সীমান্তে আটক করে বিএসএফ৷ বনগাঁ থানার পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছিল৷ তদন্তভার হাতে নিয়েছিল সিআইডি৷ ধৃতদের মধ্যে নইমই ছিল প্রধান জঙ্গি নেতা৷ তার বাড়ি মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে৷ সে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেছিল৷ সে ইংরেজিতে বেশ দক্ষ এবং ভারতীয় আইন সম্পর্কেও তার জ্ঞান অসীম৷ বনগাঁ আদালতে মামলা চলাকালীন ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে তাকে এ রাজ্য থেকে মুম্বই নিয়ে যাওয়ার সময় ফিল্মি কায়দায় ছত্তিশগড় এলাকা থেকে সে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়৷ সে ২০০৬ সালে মুম্বইয়ে বোমা বিস্ফোরণেও যুক্ত ছিল৷ তাই তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল৷ ২০১৭ সালের ২১ জানুয়ারি বনগাঁ মহকুমা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক-১ কোর্টের বিচারক বিনয়কুমার পাঠক তিন জঙ্গির ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেন। ওই বছরের শেষে ২৮ নভেম্বর লখনউ থেকে নইমকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ৷ পরে, ধৃত জঙ্গি নেতাকে বনগাঁ আদালতে তোলা হয়৷