কলকাতা: গত তিনদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করা হচ্ছে বিভিন্ন বিষয়ে। প্রথম দিন সাংবাদিক বৈঠক করেছেন ড: শশী পাঁজা, দ্বিতীয় দিন রাজ্যসভার সাংসদ শুখেন্দু শেখর রায়, তৃতীয় দিন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং আজ চতুর্থ দিন তৃণমূল ভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করছেন ব্রাত্য বসু। এদিনের বৈঠক থেকেও সর্বপ্রথম ভারতীয় জনতা পার্টি এবং রাজ্যে তাদের পাঠানো ‘বহিরাগতদের’ আক্রমণ করলেন তিনি। ব্রাত্যর কথায়, কিছু বহিরাগত এসে এখন বাংলায় ঘোরাঘুরি করছে। এরা বাংলার সংস্কৃতি জানে না, বাংলাকে বোঝে না, সবচেয়ে বড় কথা বাংলার নাড়ি বোঝে না।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য বলেন, যে সমস্ত বহিরাগতরা রাজ্যে এসে ঘোরাঘুরি করছেন তারা বাংলার সংস্কৃতি সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তাদের রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে যেমন ধারণা নেই, তেমনই বিরসা মুন্ডা সম্পর্কেও জানেন না। এই ধরনের লোকেরাই এখন রাজ্যে এসে বাংলা এবং বাঙালিকে নানাভাবে অপমান করছে, তাদের ছোট করছে। ব্রাত্য বলেন, এই বহিরাগতদের তাণ্ডব বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার পরম্পরার একটা সম্প্রসারণ। এরপর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রেক্ষিতে কথা বলতে গিয়ে ব্রাত্য জানান, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যিনি নির্বাচন জিতেছেন এবং পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন, সেই জো বিডেন তার মন্ত্রিসভায় একজন বাঙালিকে মন্ত্রী করছেন। এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি কথা মনে করিয়ে দেন ব্রাত্য। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলে এসেছেন বিশ্ব বাংলার কথা। অর্থাৎ বাংলার মুখ দিয়ে দেশকে দেখা, দেশের মুখ দিয়ে গোটা পৃথিবীকে দেখা। কোনরকম সংকীর্ণ চিন্তা ধারা এটা নয়। আন্তর্জাতিকতা সূত্রে বাঙালিকে বোঝার উদাহরণ এটি।
এই প্রকৃতি দেশের কেন্দ্রীয় সরকার অর্থাৎ বিজেপিকে তুলোধনা করেন ব্রাত্য। মন্তব্য করেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্টও বাঙালি এবং বাঙালিয়ানায় মুগ্ধ, কিন্তু বিগত বছরগুলি ধরে কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা সত্বেও আমাদের দেশের কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো পূর্ণাঙ্গ বাঙালি মন্ত্রী নেই। অর্থাৎ আমেরিকা ভাবতে পারে, কিন্তু দিল্লি পারে না, মোদি পারে না। ব্রাত্যের দাবি, গত সাত বছর ধরে হাফপ্যান্ট পরা মন্ত্রীদের রেখে দিয়েছে সরকার। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার তথা ভারতীয় জনতা পার্টির উদ্দেশ্যে ক্ষোভ উগরে দেয় ব্রাত্য বসু।