ঘুঁটে পোড়ে গোবর হাসে, প্রবাদ আউড়ে বিজেপিকে কী ইঙ্গিত দিলেন ব্রাত্য?

ঘুঁটে পোড়ে গোবর হাসে, প্রবাদ আউড়ে বিজেপিকে কী ইঙ্গিত দিলেন ব্রাত্য?

2af6e1515866771d4e6775a68664f30b

কলকাতা: সস্ত্রীক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডির তলব প্রসঙ্গে ফের প্রতিহিংসার অভিযোগ আনলেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা তথা রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷ এরপরই তিনি বহু পুরনো প্রচলিত প্রবাদ আউড়ে বলেন, ‘‘অপেক্ষা করুন, ঘুঁটে পোড়ে গোবর হাসে৷ এটা একদিন বিজেপির কাছেই বুম্যেরাং হয়ে ফিরবে৷’’

বুধবার ত্রিপুরা যাওয়ার আগে কলকাতা বিমান বন্দরে দাঁড়িয়ে এই মন্তব্য করেন ব্রাত্য৷ স্বভাবতই তা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র জল্পনা৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, তাহলে কি দেশের ক্ষমতায় এলে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিহিংসার পথেই হাঁটবে তৃণমূল সহ বিজেপি বিরোধী শক্তি? ব্রাত্য কি সেই ইঙ্গিতই দিলেন৷ ব্রাত্যবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘তৃণমূল প্রতি হিংসা পরায়ণ দল নয়৷’’

ত্রিপুরার দাপুটে বিজেপি নেতা সুদীপ রায় বর্মন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেবেন কি না এই জল্পনার জবাব দিতে গিয়ে এদিব ব্রাত্য বলেন, ‘‘ত্রিপুরা থেকে বিজেপির চলে যাওয়া এখন শুধুই কয়েক মাসের ব্যাপার৷’’ এরপরই তিনি বিস্ফোরক দাবি করেছেন, ‘‘বিজেপির প্রচুর লোক দলের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন৷ বিশেষত যাঁরা এমএলএ আছেন, তাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আমি এই মুহূর্তে নাম করে আপনাদের সামনে বলতে পারব না। তবে ওদের সঙ্গে আমাদের কথা চলছে। সবটাই অন গোয়িং প্রসেসে আছে৷’’

তবে দলে আসতে চাইলেই  যে সকলকে নেওয়া হবে, তেমনটাও নয়৷ ব্রাত্যর কথায়, ‘বিজেপির যাঁরা আসতে চাইছেন তাঁদের মধ্যে কাকে নেব আর কাকে নেব না, সেটা এখনই চূড়ান্ত করে বলা সম্ভব নয়৷ সবটাই প্রসেসে আছে৷ দলীয় নেতৃত্ব চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন৷ আমাদের কাজ যোগাযোগ স্থাপন করা, কথা বলা, কথা শোনা৷ ডায়লগ চালানো৷ সেই ডায়লগের ফলাফল কি হবে তা আমি বলতে পারি না৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *