কলকাতা: ‘২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় নিয়োগ করা হয়েছে শুধুমাত্র তৃণমূল কর্মীদের’৷ দলত্যাগী বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর বিস্ফোরক মন্তব্যে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি৷ বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে বিভিন্ন মহলে৷ এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মেজাজ হারালেন তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু৷
আরও পড়ুন- বাজেট প্রত্যাখ্যানে অনড় বিরোধীরা, পার্থকে ‘বিশেষ’ দায়িত্ব ধনকড়ের
এদিন ব্রাত্য বলেন, ২০১৪ সালে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ টেট পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব ছিল৷ আর জেলা প্রাথমিক পর্ষদ নিয়োগপত্র দিত৷ সেই সময় প্রতিটি সংবাদমাধ্যম দেখিয়েছিল বর্ধমান জেলায় একটি মাত্র বিধায়কের এলাকায় টেট নিয়ে গন্ডোগোল হয়েছিল৷ দলত্যাগী সেই বিধায়ক এখন অনেক কথা বলছেন৷ আসল সত্যিটা হল একমাত্র তাঁর বাড়ির ড্রাইভার থেকে গোটা পরিবারের লোকজন চাকরি পয়েছিল৷
তিনি আরও বলেন, ‘‘সেই সময় প্রতিটি গণমাধ্যম এই ঘটনায় সরব হয়েছিল৷ তৎকালীন বিধায়ককে বিধানসভায় আমি প্রশ্ন করেছিলাম, এসব কী শুনছি? কী হচ্ছে? এর জবাবে উনি নিরুত্তর ছিলেন৷ এখন যদি উনি কিছু বলতে চান তাহলে তার সেই কথা আমাকে কেন বলা হচ্ছে? তখন চুপ থেকে এখন কেন এসব কথা বলছেন? তাঁকেই প্রশ্ন করা হোক।’’ প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন ব্রাত্য৷
২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট কেলেঙ্কারি নিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে এসেছিল বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর নাম৷ বিরোধীরা তো বটেই, তৃণমূলের অন্দরেও তাঁকে নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি৷
গতকাল বোমা ফাটিয়ে কালনার প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বজুৎ কুণ্ডু বলেন, ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় কেবলমাত্র তৃণমূল কর্মী ও তৃণমূল ঘনিষ্ঠরাই চাকরি পেয়েছিলেন৷ যদি কোনও দুর্নীতি হয়ে থাকে তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই তা করেছেন৷ স্বপন দেবনাথ, তপন চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল অনেকেই প্রাথমিকে তৃণমূল কর্মীদের চাকরি দিয়েছেন৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী ও বৌদি চাকরি পেয়েছেন ঠিক কথাই৷ কিন্তু তাঁদের ছাড়াও ৬২ জনকে আমি চাকরি দিয়েছি৷ তাঁরা সকলেই দলের কর্মী৷’’
আরও পড়ুন- দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরে বিজেপি’র প্রতিনিধি দল, তিন দফা দাবি পেশ
এছাড়াও বিজেপি’র প্রতিনিধি দলের নির্বাচন কমিশনের কাছে তিন দফা দাবি পেশ করা নিয়েও প্রশ্ন করা হয় ব্রাত্য বসুকা৷ এর জবাবে তিনি বলেন, বাংলার ভোট করানোর জন্য যদি ১০ দফা আবেদন করতে হয়, তাহলে উত্তর প্রদেশে ২৫ দফা আবেদন করা উচিত৷ ত্রিপুরায় নির্বাচন করতে গেলে ৩০ দফার আবেদন করা উচিত৷ আলাদা আলাদা বুথ ভিত্তিক নির্বাচন করা উচিত৷ ত্রিপুরা পঞ্চায়েত ভোটে যা হয়েছে, উত্তর প্রদেশে প্রতিদিন যে পরিমাণ হিংসা-হানাহানি হচ্ছে সেগুলো মাথায় রেখেও যদি আবেদন জানান তাহলে ভালো হবে৷