‘বাবার শ্রাদ্ধেও জয় শ্রীরাম বলুক বানর সেনারা’, মমতার ‘অপমানে’ তীব্র কটাক্ষ ব্রাত্য-কুণালের

‘বাবার শ্রাদ্ধেও জয় শ্রীরাম বলুক বানর সেনারা’, মমতার ‘অপমানে’ তীব্র কটাক্ষ ব্রাত্য-কুণালের

কলকাতা: ভিক্টোরিয়ায় নেতাজি জন্মজয়ন্তির মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য রাখার আগে যে ঘটনা ঘটেছে৷ তা এখন গোটা দেশের জানা৷ মুখ্যমন্ত্রীর অপমানিত বোধ করে বক্তব্য বলার সিদ্ধান্ত নিয়েও এখন তোলপাড় হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া৷ রবিবার তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘটনা তীব্র নিন্দা করা হল তৃণমূলের তরফে৷ এমন ঘটনাকে নক্ক্যারজনক বলে ব্যাখ্যা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷ একইসঙ্গে তোপ দাগলেন তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ৷ 

এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ব্রাত্য বলেন, “এতবড় অসভ্যতা, এতবড় নিলর্জ্জতা বাঙালি দেখল কালকে৷ সুভাষ বোসের সঙ্গে রামের কী সম্পর্ক? বিজেপির যারা বাঙালি নেতারা ছিলেন তারাও মিনমিন করে এর প্রতিবাদ করেছিলেন৷ তবে পরে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র টুইট করে পরে এরা ব্যাকফুটে চলে যায়৷”তিনি আরও বলেন,  “কৃত্তিবাসের রামকে বুঝবে না কৈলাসবাবুরা৷ বাঙালী রাম চারা মাছের ঝোল খেতে ভালোবাসে, বউকে বেদম ভয় পায়, কথায় কথায় অগ্নিপরীক্ষা দিতে বলে না৷ এই রাম নারীকে সম্মান করত”৷ এই ঘটনাকে নারীবিদ্বেষী ঘটনা বলেও কটাক্ষ করেন ব্রাত্য৷

এরপরেই এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন কুনাল ঘোষও৷ বলেন, ওরা বলছে সবেতেই জয় শ্রীরাম৷ তাহলে কেউ বিয়ে করলে শুভদৃষ্টির সময় কোনও মন্ত্র পড়ার দরকার নেই, কারোর বাবা মারা গেলে শ্রাদ্ধেও জয় শ্রীরাম বলুক ওরা৷ একইসঙ্গে নাম না করে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ছেলে আকাশ বিজয়বর্গীয়র ব্যাট দিয়ে সরকারি আধিকারিককে মারধরের প্রসঙ্গ এনে টেনে আনেন ব্রাত্য ও কুনাল৷ বলেন, রামের নাম নিয়ে সরকারি আধিকারিককে ব্যাট দিয়ে পেটাচ্ছে ওরা৷

কুনালের প্রশ্ন, এই ধরণের অপসংস্কৃতি কী বাংলায় ঢুকবে যেখানে সরকারি অনুষ্ঠানেও চিত্কার করা হচ্ছে জয়শ্রীরাম বলে৷ এই ধরণের অসভ্যতা বলে কটাক্ষ করেন তিনি৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 3 =