মমতাকে পুরষ্কার দেওয়ায় প্রতিবাদ, ব্যথিত ব্রাত্য বলছেন, ‘বাঙালিরাই পারে’

মমতাকে পুরষ্কার দেওয়ায় প্রতিবাদ, ব্যথিত ব্রাত্য বলছেন, ‘বাঙালিরাই পারে’

2af6e1515866771d4e6775a68664f30b

কলকাতা: রবীন্দ্র জয়ন্তীতে বাংলা সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পুরষ্কার দেওয়ার প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই নিজের পাওয়া পুরনো সম্মান ফিরিয়ে দিয়েছেন লেখিকা ও গবেষক রত্না রশিদ বন্দ্যোপাধ্যায়। একই কারণে সাহিত্য অ্যাকাডেমি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন লেখক এবং সম্পাদক অনাদিরঞ্জন বিশ্বাস। এই বিষয় তীব্র আলোড়ন গোটা বঙ্গ জুড়ে। অবশেষে এই ইস্যুতে মুখ খুলে দুঃখ প্রকাশ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর কথায়, বাঙালিদের একটা অংশই এটা করতে পারে।

আরও পড়ুন- দিঘার সৈকতে হুমড়ি খেয়ে পড়লেন মদন মিত্র, ভাইরাল ভিডিও

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুরষ্কার দেওয়ার প্রতিবাদে ২০১৯ সালে পাওয়া অন্নদাশঙ্কর স্মারক সম্মান ফিরিয়ে দিলেন লেখিকা ও গবেষক রত্না রশিদ বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, সাহিত্য অ্যাকাডেমির বাংলা উপদেষ্টা পরিষদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন লেখক এবং সম্পাদক অনাদিরঞ্জন বিশ্বাস। তাদের দু’জনের প্রায় একই বক্তব্য, বাংলাকে, কবিতাকে অপমান করা হয়েছে। যদি কবিতার নাম করে এমন পুরস্কার দেওয়া হয়, তা হলে কবিতাকে অপমান করা হয়। তবে তাঁরা এটাও জানিয়েছেন যে, এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। কিন্তু গোটা বিষয়টিতে যে ভীষণ দুঃখ পেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী, তা ব্যক্ত করেছেন নিজেই। ব্রাত্যর কথায়, একমাত্র বাঙালিদের একটা অংশই এমন পারে। অ-বাঙালি হলে হয়তো এমন করত না।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পুরষ্কারে ভূষিত হওয়ার পরেই সব জায়গায় নিন্দা এবং ট্রোলের ঝড়। মমতার এই পুরষ্কার প্রাপ্তি অনেকেই ভালো ভাবে নেননি। ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে সর্বত্র। কিন্তু ব্রাত্য বসুর মতো সুবোধ সরকাররা বলছেন, বিচারকমণ্ডলীতে যারা ছিলেন তাঁরা শুভবুদ্ধিসম্পন্ন। তাদের বিচারেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উঠে এসেছে। তাই যারা প্রতিবাদ করছেন, সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। উল্লেখ্য, সেদিন মঞ্চে উপস্থিত থাকলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে হাতে পুরস্কার গ্রহণ করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *