কলকাতা: বয়স মাত্র ৭৷ ক্লাস টু-য়ের পড়ুয়া৷ কিন্তু এই খুদের প্রখর বুদ্ধিতেই বড়সড় বিপদ থেকে রক্ষা পেল শিয়ালদাগামী ক্যানিং স্টাফ স্পেশ্যাল লোকাল৷
আরও পড়ুন- ‘নাটক ধরা পড়ে গিয়েছে, মুখরক্ষার ব্যর্থ চেষ্টা’, বাবুলের সিদ্ধান্তে ফের খোঁচা কুণালের
খেলতে খেলতে বছর সাতেকের ছোট্ট দ্বীপের নজরে এসেছিল রেল লাইনের ফাটল৷ ফাটল দেখেই সে ছুটে গিয়ে তার মা সোনালী নস্করকে বিষয়টি জানায়৷ গুরুত্ব বুঝে সোনালী দেবী তড়িঘড়ি প্রতিবেশী মহিলাদের খবরটি জানান৷ এর পর তাঁরা সকলে মিলে বাড়ি থেকে লাল কাপড় এনে রেল লাইনের উপর দাঁড়িয়ে পড়েন৷ ঠিক সেই সময়ই এগিয়ে আসছিল শিয়ালদাগামী ক্যানিং স্টাফ স্পেশ্যাল৷ কিন্তু লাল কাপড় দেখে বিপদের সঙ্কেত বুঝতে পারেন ট্রেনের চালক৷ সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনটি থামিয়ে দেন তিনি৷
ট্রেন থামার পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন বিদ্যাধরপুরের বুকিং সুপারভাইজারকে৷ খবর পেয়ে অকুস্থলে পৌঁছন রেলের ইঞ্জিনিয়ররা৷ তাঁরা এসে রেল লাইন মেরামত করেন৷ প্রায় ৪০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পর শিয়ালদহের উদ্দেশে রওনা দেয় স্টাফ স্পেশাল ট্রেনটি৷ শিয়ালদহের ডিআরএম এসপি সিং বলেন, “লাইনে আগে থেকেই ওয়েলডিং ছিল। সেটি খুলে যাওয়ায় বিপদের সম্ভাবনা ছিল। ওই শিশুটির তৎপরতায় বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় ট্রেনটি। কর্মীদের বলেছি শিশুটির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। আমার হাতে যেটুকু ক্ষমতা রয়েছে, তাতে তাকে হাজার পাঁচেক টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করা হবে। অনেক বড় কাজ করেছে শিশুটি। তাকে উৎসাহ দিতেই রেলের এই উদ্যোগ৷”
আরও পড়ুন- দক্ষিণবঙ্গে বন্যায় মৃত ১৬, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
এদিন রেল লাইনের ধারে খেলছিল দ্বীপ নস্কর৷ সেই সময়ই তাঁর নজরে আসে ফাটলটি৷ সে আগে শুনেছিল ফাটল থাকলে ট্রেন উল্টে যেতে পারে৷ সেটা মাথায় রেখেই ছুটে গিয়ে তার মাকে খবরটি জানায়৷ তাঁর বুদ্ধির জেরেই দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়৷