সিতাই: পঞ্চায়েত ভোটের দিন সকাল থেকেই একের পর এক অশান্তির খবর আসছে। গতকাল মাঝরাত থেকেই নানা জায়গায় হিংসার ঘটনা শুরু হয়ে যায়। বোমাবাজি থেকে শুরু করে গুলি চলা, বিপক্ষ প্রার্থী, এজেন্টদের মারধরের মতো ঘটনা ঘটেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত বাংলার শাসক দল। এইসব অভিযোগের পাশাপাশি বুথে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কোচবিহারের সিতাইয়ে এই ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কোচবিহারের সিতাইয়ের ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোটেরহাট ৪/৩৮ নম্বর বুথে বিজেপির এজেন্টকে খুন করা হয়েছে। এছাড়া অভিযোগ, সিতাই বিধানসভার এক নম্বর ব্লকের ৬/১৩০ বড়ভিট গভর্নমেন্ট প্রাইমারি স্কুলে রাতভর তাণ্ডব চালিয়ে আগুন লাগানো হয় এবং পোড়ানো হয় ব্যালট পেপার। ভোট গ্রহণ কেন্দ্র ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও দাবি বিরোধীদের।
পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই রক্তপাত, সংঘর্ষ, বোমাবাজি, প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। নির্বাচনের দিনও সেই ছবি বদলায়নি। মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু করে হাওড়া, হুগলি, কোচবিহার, ভাঙড়, মালদহ সহ একাধিক জেলায় হানাহানির ঘটনা। ইতিমধ্যেই হিংসার ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। কোচবিহারের বিজেপি এজেন্টকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। আবার মুর্শিদাবাদে গুলিবিদ্ধ হয়েছে মহিলা ভোটার, সেখানেও অভিযুক্ত তৃণমূল।