জুনপুট: তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের পেটুয়া মৎস্য বন্দর এলাকা। বোমাবাজি করার অভিযোগ। বোমাবাজির জেরে জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
তৃণমূলের অফিসিয়াল গোষ্ঠীর অবশ্য দাবি, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিকারীরা এমন হামলা চালিয়েছে। যদিও তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর দাবি, এখানে বিজেপি তৃণমূলের কোন বিষয় নেই। দুই পুজো কমিটি গণ্ডগোল নিয়ে সমস্যা।
সূত্রের খবর, কাঁথি দেশপ্রাণ পেটুয়া মধ্যে দুটি কালী পুজো হচ্ছিল। একটি পুজো প্যান্ডেল ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অপর এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদে জুনপুট উপকূল থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয় অপর এক গোষ্ঠী। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে দাবিতে সোচ্চার হোন। এদিকে বেশ কয়েক দিন কেটে গেলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি। তার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে অভিযুক্তদের গ্রেফতারে দাবিতে আবারও থানায় ডেপুটেশন তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে কর্মী সমর্থকরা।
ডেপুটেশন দিতে যাওয়ার সময় বোমাবাজির অভিযোগ উঠে। ঘটনার পরই গোটা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে৷ অভিযোগ, পাল্টা বোমা ছুঁড়ে শুরু করে দুষ্কৃতীরা৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এরপরই কাঁথি থেকে আরও পুলিশ বাহিনী রওনা দেয় ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে৷
কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তরুণ কুমার জানা বলেন, “পুজো প্যান্ডেল ভেঙে দেওয়া নিয়ে থানায় ডেপুটেশন ছিল। সেই সময় কিছু বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিকারীরা বোমাবাজি করে। পুলিশকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানিয়েছি৷’’ যদিও কাঁথি সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, “দুটি পুজো কমিটি মধ্যে গণ্ডগোলের জেরে ওই ঘটনা৷’’ অন্যদিকে অভিযোগ উড়িয়ে উত্তর কাঁথির বিজেপি বিধায়ক সুমিতা সিনহা বলেন, ‘‘তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে এমন ঘটনা। তৃণমূল দোষ বিজেপি উপর চাপানো চেষ্টা চলছে৷ কিন্তু এর সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই৷’’ এদিকে গোলমালের জেরে এলাকায় ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য৷ মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী৷