ব্যারাকপুর: ফের গভীর রাতে বোমাবাজির ঘটনা ঘটল ভাটপাড়ায়। এবার বোমা পড়ল গেরস্থের ঘরে। স্বভাবতই উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। মঙ্গলবার গভীর রাতে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে ভাটপাড়ার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ১১ নম্বর গলির দুর্গামাঠ এলাকায়। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। তবে ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা পগারপার।
তৃণমূলের স্থানীয় নেতা গোপাল রাউতের দাবি, ‘‘সমাজবিরোধী দুই গোষ্ঠীর বিবাদের জেরে এই ঘটনা। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।’’ বিজেপির তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, ‘‘তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এলাকায় বাড়ছে সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ৷’’ স্থানীয় বাসিন্দারা অবশ্য পরিস্থিতির জন্য দুষেছেন পুলিশকেই৷ তাঁদের অভিযোগ, পুলিশের মদতে এবং রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকার জেরেই এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে৷ বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছেন, পুলিশ যদি সঠিকভাবে তল্লাশি অভিযান চালায় তাহলে এলাকায় বোমা,গুলি মজুত থাকে কি করে? সঠিক নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে না কেন? পুলিশের অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে বোমা পড়ে কাঁকিনারা জুটমিলের ঠিকা দারোয়ান সুশীল সিংয়ের বাড়িতে৷ রাতে ওই দারোয়ানের বাড়ির দোতলার জানলার ওপর বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা। সেইসময় সুশীলবাবুর স্ত্রী বাচ্চি দেবী সিং দুই পুত্র সন্তান নিয়ে ঘরে শুয়ে ছিলেন। বোমা ফাটতেই ভয়ে চিৎকার করে ওঠে বাচ্চারা। চমকে ওঠেন এলাকাবাসী৷ বাসিন্দারা জানান, মুড়ি মুরকির মতো একাধিক বোমা বাজির শব্দ শোনা গিয়েছে৷
খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ৷ তবে ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা পগারপার৷ বাসিন্দাদের অভিযোগ, এভাবেই দিনের পর দিন এলাকায় চোর-পুলিশের খেলা চলছে৷ আর তাঁর ভুক্তভোগী হতে হচ্ছে স্থানী. মানুষজনকে৷ অবিলম্বে দুষ্কৃতী-রাজ বন্ধের দাবি তুলেছেন তাঁরা৷