ব্যারাকপুর: রবিবার ভোর রাতে বোমা পড়েছিল বিজেপি কর্মীর বাড়িতে৷ বেলায় সেই কর্মীর বাড়িতে গিয়ে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ দাবি করেছিলেন, ‘‘এই পুলিশ বাংলার মানুষকে নিরাপত্তা দেয় না, এরা দুষ্কৃতীদের নিরাপত্তা দেয়৷’’ বুধবার ভোর রাতে সেই সাংসদের বাড়ি লক্ষ্য করেই বোমা ছুঁড়ল দুষ্কৃতীরা৷ স্বভাবতই ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা৷ বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, ‘‘সাংসদও যদি সুরক্ষিত হন, তাহলে আমরা সাধারণ মানুষ সুরক্ষিত থাকব কি করে?’’
বুধবারের ভোর রাতে বোমা পড়েছে ব্যারাকপুর লোকসভার সাংসদ অর্জুন সিংয়ের জগদ্দলে মজদুর ভবনের বাড়ির গেটের সামনে৷ একাধিক বোমার আওয়াজ পাওয়া গিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারপরই মোটরবাইকে চড়ে কয়েকজনকে দ্রুত এলাকা থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়৷ তবে দলীয় কাজে সাংসদ দিল্লিতে রয়েছেন৷ বাড়ির গেটে বোমা ছোঁড়া হলেও কেউ আহত হননি৷ অনুমান করা হচ্ছে, সাংসদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রক্ষীদের লক্ষ্য করেই ছোঁড়া হয়েছিল বোমা৷
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জগদ্দল থানার বিশাল পুলিশবাহিনী৷ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে পুলিশ৷ কি কারণে, কোন উদ্দেশ্যে দুষ্কৃতীদের বোমাবাজি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা৷ যদিও পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা বলছেন, ‘‘পুলিশ প্রতিবারে শুধু বলে তদন্ত হচ্ছে, দেখছি৷ কিন্তু পুলিশ যদি সত্যি সক্রিয় হত তাহলে এমন ঘটনা ঘটত না৷ স্বভাবতই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে এলাকায়৷’’ অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা৷
গত রবিবার কাকভোরে থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে অন্নপূর্ণাদেবী রোডে বিজেপি কর্মী সুরেশ সাউয়ের বাড়িতে বোমা ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা৷ তারপরই সাংসদের বাড়িতে বোমা হামলা৷ ফলে ‘শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে’ বলে পুলিশ কর্তারা আশ্বাস দিলেও পুলিশের কথায় ভরসা রাখতে পারছেন না বাসিন্দারা৷