মেয়ের উপহার নিয়ে ফেরার কথা, বাবা ফিরলেন, তবে কফিনবন্দি হয়ে

মেয়ের উপহার নিয়ে ফেরার কথা, বাবা ফিরলেন, তবে কফিনবন্দি হয়ে

মুর্শিদাবাদ: শনিবার মণিপুরে মায়ানমার সীমান্তে সেনা কনভয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। সেই হামলায় শহীদ হন অসম রাইফেলের এক কমান্ডিং অফিসার সহ ৬ জন জওয়ান। তাদের মধ্যে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার শ্যামল দাস। আজ এই বীর জওয়ানের দেহ ফিরল গ্রামের বাড়িতে। কিছুদিন আগেই মেয়েকে তিনি কথা দিয়েছিলেন জন্মদিনের উপহার নিয়ে আসবেন তার জন্য। বাবা ফিরলেন বটে কিন্তু কফিনবন্দি হয়ে। বাবার থেকে আর জন্মদিনের উপহার পাওয়া হল না ছোট্ট মেয়েটার।

মণিপুর জঙ্গি হামলায় শহীদ শ্যামল দাস মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানার কীর্তিপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। সেখানে আজ তার কফিনবন্দি মরদেহ আসায় গোটা গ্রাম কান্নায় ভেঙে পড়ে। বাড়ির ছেলেকে এই অবস্থায় দেখে স্বাভাবিকভাবেই শোকস্তব্ধ পরিবারের সকল সদস্য। এদিন কীর্তিপুর গ্রামের খেলার মাঠে শ্যামল দাসের মরদেহ রাখার ব্যবস্থা ছিল এবং সেখানেই তাঁকে গান স্যালুট দিয়ে সম্মান জানানো হয়। গ্রামের প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে শুরু করে শহীদ জওয়ানের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন সেখানে। গান স্যালুট দেওয়ার পাশাপাশি কফিনবন্দি দেহ নিয়ে মিছিল করেন গ্রামবাসীরা এবং তোলা হয় ‘অমর রহে’ স্লোগান।

উল্লেখ্য, শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ আচমকাই সেনাবাহিনীর কনভয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ওই কনভয়ে এক অফিসার ও তাঁর পরিবার ছিলেন৷ তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কুইক রিয়াকশন টিম-এর দুই সদস্য ও গাড়ির চালক৷ বিস্ফোরণে সকলেরই মৃত্যু হয়েছে৷ এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার না করলেও এই হামলার পিছনে ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি অফ মণিপুর’ (পিএলএএম)-এর হাত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ অথবা এর পিছনে রয়েছে ময়ানমারে ঘাঁটি গাড়া নাগা জঙ্গিগোষ্ঠী এনএসসিএন (খাপলাং)-এর হাত৷ ছবি: প্রতীকী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *