হাইকোর্টে বড় জয় প্রশাসক ববি’র, বাড়ল বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মেয়াদ

হাইকোর্টে বড় জয় প্রশাসক ববি’র, বাড়ল বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মেয়াদ

fee9e73f013bc7776113f0b9ca48a448

কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টে বড়সড় স্বস্তি পেল পুরসভার নবগঠিত বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর৷ কলকাতা পুরসভার বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর নিয়ে আপাতত স্বস্তিতে রাজ্য৷ প্রশাসকের কার্যকালের মেয়াদ আরও বেশ খানিকটা বাড়িয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ৷

গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক সুব্রত তালুকদার নির্দেশ দেন, কলকাতা পুরসভার বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর আগামী এক মাসের জন্য কেয়ারটেকার হিসাবে কাজ করতে পারবে৷ করোনা মহামারীর পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর নিয়োগের আইনি জটিলতার মধ্যে ঢুকতে চাইছেন না আদালত৷ কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জে জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায় হয়৷ আজ ছিল সেই মামলার শুনানি৷

আজ ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি পর্ব রাজ্য ও কলকাতা পুরসভার কর্তাদের স্বস্তি বাড়িয়ে নবগঠিত প্রশাসকমণ্ডলীর কার্যকালের মেয়াদ আরও খানিকটা বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে ডিভিশন বেঞ্চ৷ ডিভিশন বেঞ্চের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, করোনা মহামারির  আবহে যাতে পুরপরিষেবা যাতে সচল থাকে তা নিশ্চিত করতে প্রশাসক বসানোর বিষয়ে আইনি জটিলতার দিকে এখন যাওয়া যাচ্ছে না৷ তবে ২০ জুলাই পর্যন্ত কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলী কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন বলেও সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে৷ সিঙ্গেল বেঞ্চ এর আগে প্রশাসকমণ্ডলীর কার্যকালের মেয়াদ ১ মাস কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল৷ আজ ডিভিশন বেঞ্চ আরও খানিকটা মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছে৷ ফলে, আগামী ২০ জুলাই পর্যন্ত অবাধে প্রশাসকমণ্ডলী কাজ চালিয়ে যেতে পারবে৷

কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে মামলা দায়ের করেন শরৎকুমার সিংহ নামের এক ব্যক্তি৷ পুরসভায় বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর নিয়োগ নিয়ে সরকারিভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর রাজ্যকে চ্যালেঞ্চ জানিয়ে মামলা দায়ের হয়৷ অন্যদিকে, কলকাতা পুরসভার প্রশাসক বসানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল৷ তাঁকে না জানিয়ে প্রশাসক বসানো হয়েছে বলে ক্ষুব্ধ হন তিনি৷ তাঁর অনুমতি চাওয়া হয়নি কেন? টুইটারে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল৷ সংবিধানে ১৬৭ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীর থেকে তথ্য চেয়েছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান৷ গত ৭ মে টুইট করে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, ‘‘মুখ্যসচিবের কাছ থেকে কোনও সাড়া পায়নি৷ সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছি৷ গতকাল জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছি৷ রাজ্যপালকে তথ্য সরবরাহ করা মুখ্যমন্ত্রীর কর্তব্য৷ ১৬৭ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীর এই কর্তব্য পালন করেন৷ এই বিজ্ঞপ্তির গভীর তাত্পর্য আছে৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *