‘বিজেপি কর্মীদের রক্ত, হবে না ব্যর্থ!’ বাংলায় পরিবর্তনের ধুয়ো তুললেন নমো

দুর্গাপুর: বাংলার শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরে দাঁড়িয়ে ঠাকুরনগরের বিশৃঙ্খলার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ এদিন দুর্গাপুরে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘‘ঠাকুরনগরের সমর্থন দেখে আমি আপ্লুত৷ কিন্তু, ভিড়ের জন্য ওখানে কিছু সমস্যা হয়েছে৷ আমি এর জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি৷ যাঁরা জখম হয়েছেন, তাঁদের জন্য আমি সমব্যার্থী৷’’ ক্ষমা চাওয়ার পরই এদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেন মোদি৷ এদিন

168b13f99cc2d3dd3aa989b7390fe8d0

‘বিজেপি কর্মীদের রক্ত, হবে না ব্যর্থ!’ বাংলায় পরিবর্তনের ধুয়ো তুললেন নমো

দুর্গাপুর: বাংলার শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরে দাঁড়িয়ে ঠাকুরনগরের বিশৃঙ্খলার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ এদিন দুর্গাপুরে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘‘ঠাকুরনগরের সমর্থন দেখে আমি আপ্লুত৷ কিন্তু, ভিড়ের জন্য ওখানে কিছু সমস্যা হয়েছে৷ আমি এর জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি৷ যাঁরা জখম হয়েছেন, তাঁদের জন্য আমি সমব্যার্থী৷’’ ক্ষমা চাওয়ার পরই এদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেন মোদি৷

এদিন সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘বিজেপি কর্মীদের রক্ত, ব্যর্থ হবে৷ বাংলার পরিবর্তন নিশ্চিত৷’’ বাংলার সরকার উন্নয়ন বিরোধী বলেও মন্তব্য করেন মোদি৷ বলেন, ‘‘বাংলাকে উন্নয়নের দিশা দেখানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তা হতে দিচ্ছে না৷ মা মাটি মানুষের নামে সরকারে এসে তৃণমূল সরকার হিংসার রাজনীতি করছে৷’’

এদিন দীর্ঘ বাজেটে কেন্দ্রের একাধিক যোজনার প্রসঙ্গ তুলে উন্নয়নের ঢাক পেটাতে শুরু করেন নমো৷ দেশের ইতিহাসে কৃষকদের জন্য বিজেপি সরকার সব থেকে বড় প্রকল্প এনেছে বলেও দাবি করেন তিনি৷ প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোগী যোজনায় শ্রমিকরা তিন হাজার টাকার পেশন দেওয়া হবে বলেও জানান৷ বলেন, ‘‘আমাদের সরকার, কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, মধ্যবিত্ত, পিছিয়ে পড়া সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধান করেছে৷ তাই তো আমরা বলি, সবকা সাথ, সব কা বিকাশ৷’’

অন্যদিকে আজ, সোমবার লোকসভা নির্বাচনের আগে মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান বড়মা বীণাপাণি দেবীর আশীর্বাদ দিয়ে বাংলায় ভোট প্রচার শুরু করলেন নরেন্দ্র মোদি৷ আজ, দুপরে অসুস্থ বড়মার বাড়িতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর সঙ্গে দেখা করেন৷ কথাও বলেন৷ মিনিট পাঁচেক কথা বলার পর সভামঞ্চে উঠে যান মোদি৷ এদিন সভামঞ্চে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় মতুয়া মহাসঙ্ঘের তরফে৷ দেওয়া হয় সোনার স্তবক৷এদিন মঞ্চে উঠে রামকৃষ্ণ পরমহংস, স্বামী বিবেকানন্দ, চৈতন্যদেব, হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুর ও বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে শুরু করেন ভাষণ৷

শুরুতেই কেন্দ্রের উন্নয়নমূলক কাজের প্রচার শুরু করেন মোদি৷ এদিন মতুয়াদের নাগরিকত্ব ইস্যু তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন মোদি৷ সভায় ভিড় দেখে মোদি বলেই ফললেন, ‘‘ভিড় দেখেই বুঝতে পারছি, দিদি কেন হিংসার রাস্তায় নেমেছে৷’’ এদিন মমতাকে কটাক্ষ করে ‘গণতন্ত্রণ বাঁচাতে’ বাংলায় ‘নাটক’ হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি৷ গণতন্ত্র বাঁচানোর নামে সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি৷ নাগরিকত্ব বিলের প্রসঙ্গ তুলে মোদি দাবি করেন, ‘‘এই দেশে প্রতিটি হিন্দু নাগরিকত্ব পাবেন৷ এই জন্য আমরা বিল এনেছি৷ কিন্তু, অনেকেই এই বিরোধিতা করছে৷ আপনারা বলুন, হিন্দুদের নাগরিকত্ব পাওয়া উচিত কি না৷’’

শুক্রবার বাজেট প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, ‘‘এই বাজেট তো সবে শুরু৷ পরে যখন পূর্ণ বাজেট হবে, তখন দেখবেন বিকাশ কীভাবে হবে৷’’ প্রশ্ন উঠছে, তাহলে মোদির পাঁচ বছরে ছ’বারের বাজেট কী তবে, বিকাশের সুযোগ মেলেনি? পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা, এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে আরও পাঁচ বছর সরকারে থাকার ইচ্ছাই প্রকাশ করলেন মোদি৷ এদিন, কৃষক ও শ্রমিকদের সমস্যা সমাধান হবে বলেও এদিন ফের প্রতিশ্রুতি দেন মোদি৷ এদিন মোদির সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের বেশিরভাগটাই ছিল কেন্দ্রের উন্নয়ন প্রচার৷ ছিল বাজেট প্রসঙ্গ৷ কিন্তু, যে পিছিয়ে পড়া মতুয়াদের কল্যাণের জন্য আজ উড়িয়ে নিয়ে আনা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে, তাঁদের জন্য ‘নাগরিকত্ব বিলে’র কথা ছাড়া আর কোনও প্রতিশ্রুতিই দিতে পারলেন না মোদি৷ এদিন সভায় উপচে পড়া ভিড়ে হুড়োহুড়ি শুরু হতেই বেশ কয়েকবার ভাষণ থামিয়ে সবাইকে শান্ত থাকতেও বলেন৷

মোদির সভা চালাকালীন চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে৷ হুড়োহুড়ির জেরে জখম বেশ কয়েকজন৷ মাঠ ছোট হওয়ার কারণেই এই বিপত্তি বলে সভামঞ্চ থেকে জানিয়ে দেন নরেন্দ্র মোদি৷ ভাষণ থামিয়ে নিয়েই দর্শকদের শান্ত থাকতে নির্দেশ দেন৷ কিন্তু, মোদির নির্দেশ উপেক্ষা করে বাঁশের ব্যারিকেডের উপর উঠে পড়েন বহু দর্শক৷ একে অপরের উপর ঘাড়ের উপর পড়তে থাকেন৷ ভিড়ের মধ্যে থেকে সভা লক্ষ্য করে উড়ে আসতে থাকে ইট, পাথর৷ চলে চেয়ার ছোড়াছুড়ি৷ হুড়োহুড়ির মাঝে পড়ে জখম হন বেশ কয়েকজন৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি ভাষণ থামিয়ে মঞ্চ ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *