জঙ্গিপুর: পঞ্চায়েত নির্বাচন দোরগোড়ায় চলে এসেছে। কিন্তু রাজ্যের হিংসার ঘটনা কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। শেষ কয়েক সপ্তাহ ধরে মুর্শিদাবাদ, ভাঙড়, ক্যানিং, বাসন্তী, সব জায়গায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। বাদ যায়নি উত্তরবঙ্গের কিছু জেলাও। শনিবার ভোটের আগে আজ বৃহস্পতিবার আবার উত্তপ্ত হল বাংলা, ফাটল বোমা, চলল গুলিও। জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বোমা ফেটে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, জঙ্গিপুরে সিপিএম প্রার্থীকে গুলি করার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
শেষ ক’দিনে মুর্শিদাবাদ যেন ফুটছে। লাগাতার একাধিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে সেখানে। গতকালই রানিনগরে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় ‘হাত’ শিবির। আজ বেলডাঙায় বোমা বাঁধতে গিয়ে মৃত যুবক। পাশাপাশি জঙ্গিপুরে সিপিএম প্রার্থীকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে, চলেছে গুলিও। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার মহেশপুর গ্রামে বোমা বাঁধতে গিয়েই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। শুধু বেলডাঙা নয়, বুধবার রাতে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে ডোমকল, জঙ্গিপুর। কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের আক্রমণের পাশাপাশি সিপিএম প্রার্থীকে মারধর, গুলি করার মতো ঘটনা ঘটেছে।
সব মিলিয়ে বাংলায় বিস্ফোরণের কারণে এখনও পর্যন্ত মোট ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, ভোটে সবথেকে বেশি ৪৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। অর্থাৎ তাদের চোখে এই জেলায় সবচেয়ে বেশি স্পর্শকাতর। এরপর পূর্ব মেদিনীপুর ও হাওড়ায় থাকতে চলেছে ৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনায় ৩৫ কোম্পানি, নদিয়ায় ৩১ কোম্পানি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও মালদায় ৩০ কোম্পানি, হুগলিতে ২৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে।