গোঘাট: বিজেপি নেতার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা হুগলীর গোঘাটে৷ রবিবার সকালে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি শৌভিক মুখোপাধ্যায়ের ঝুলন্ত দেহ৷ তৃণমূলের চাপে নাকি প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করলেন শৌভিক, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা৷ তৃণমূলের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনেছে বিজেপি। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন- বিশ্বভারতী ইস্যুতে হস্তক্ষেপ পুলিশ সুপারের, আশ্রমিকদের বাড়ি গিয়ে বললেন কথা
গোঘাট মণ্ডলের ভারতীয় জনতা পার্টির যুব মোর্চার সভাপতি ছিলেন বছর ২৬ এর ওই যুবক৷ শনিবার রাতে গোঘাটের নারায়ণপুর গ্রামের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন শৌভিক৷ রাতে খাওয়াদাওয়া করে ঘুমোতে গিয়েছিলেন তিনি। রবিবার সকালে অনেক ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে পরিবারের লোকজন৷ চিৎকার শুনেই প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে যান। খবর দেওয়া হয় থানায়। রবিবার সকালে শৌভিকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷ তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে৷
জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে ছিলেন এই যুব নেতা৷ ১৬ বছরের একটি নাবালিকার সঙ্গে তাঁর প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল বলেও অভিযোগ৷ এ নিয়ে শৌভিকের পরিবার অবশ্য মুখ খুলতে চায়নি৷ আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনেছে বিজেপি৷ যদিও তৃণমূলের পালটা দাবি, শৌভিক প্রণয়ঘটিত মনোমালিন্যের জেরে আত্মহত্যা করেছে। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।
আরও পড়ুন- আরও বাড়তে চলেছে হুইস্কি-রামে’র দাম, মাথায় হাত বাংলার সুরাপ্রেমীদের
ক’দিন আগেই স্বাধীনতা দিবসে খানাকুলের নতিবপুরে বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল৷ এরই মধ্যে এবার বিজেপির যুব মোর্চা নেতার মৃত্যুতে ফের সরগরম রাজ্য রাজনীতি। রাজ্য বিজেপি’র জেনারেল সেক্রেটারি সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটের সময়ও বহু বিজেপি কর্মীকে খুন করেছিল তৃণমূল৷ এবং এই ঘটনাগুলিকে আত্মহত্যার রং দিতে তাঁদের দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়কেও খুন করার পর তাঁর দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷’’