কেশিয়াড়ি: বিজেপি করার ‘অপরাধে’ গ্রাম্য বয়কটের শিকার হওয়া কর্মীর আত্মহত্যার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়৷ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর মহকুমার কেশিয়াড়ি ব্লকের ঘটনা৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিজেপি কর্মীর নাম অমরেশ দত্ত৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক৷
স্থানীয় সূত্রের খবর, কেশিয়াড়ির গগনেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের করাট গ্রামের বাসিন্দা অমরেশ৷ অভিযোগ, বিজেপি করার অপরাধে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বের হওয়ার পর থেকেই তাঁকে চাষের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছিল৷ এমনকি সামাজিকভাবে বয়কটও করা হয়৷ সম্প্রতি সেই ফতোয়া উপেক্ষা করে গ্রামের একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার অপরাধে তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের তরফে সালিশি সভা বসানো হয়৷
বিজেপির জেলা নেতা সোমনাথ চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘সালিশি সভায় আমাদের কর্মী অমরেশকে ৮ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়৷ একই সঙ্গে জানানো হয়, তৃণমূলে নাম না লেখালে চাষের কাজ করতে পারবে না৷ এদিন অমরেশ চাষের কাজে গেলে তাকে বাধা দেওয়া হয় এবং মারধর করা হয়৷ এরপরই সে চাষের সারের কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে৷’’
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘এমন কোনও খবর আমার জানা নেই৷ তাছাড়া দলবদলের জন্য কারও ওপর চাপ দেওয়ার কালচার আমাদের দলে নেই৷ ’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি৷ তবে এমনও হতে পারে, অন্য কোনও কারণে বিষ খেয়েছেন৷ বিজেপি পরিকল্পিতভাবে বদনাম করার জন্য আমাদের নাম চাপাচ্ছে৷’’
যদিও অমরেশের পরিজনেরা জানিয়েছেন, ভোটের পর থেকেই শাসকদলের সন্ত্রাসে তারা নাস্তানাবুদ৷ জমির কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না৷ কার্যত বয়কট করে রাখা হচ্ছে বিজেপির পরিবারগুলিকে৷ তারই জেরে হতাশায় অমরেশ আত্মহননের পথ বেছে নেন বলেই তাঁদের দাবি৷ যদিও এবিষয়ে থানায় সুনির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে পুলিশ সূত্রের খবর৷