Aajbikel

তারাপীঠে পুজো দিয়ে শুরু পদ্মের প্রশিক্ষণ শিবির, হারানো আসন জয়ের লক্ষ্যে রাজ্যে সন্তোষ

 | 
সন্তোষ

কলকাতা: বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। গত লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ১৮টি আসন জিতেছিল বিজেপি। এবার লক্ষ্য তৃতীয় বার কেন্দ্রে ফেরা৷ আরও একবার নরেন্দ্র মোদী সরকার গড়তে তাই বাংলাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে পদ্ম শিবির। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্য নেতৃত্বের সামনে কমপক্ষে ৩৫টি আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন। তবে সেই লক্ষ্য যে বেশ ‘কঠিন’, তা ভালই জানে রাজ্য বিজেপি। তবে লক্ষ্য পূরণের দায়িত্ব ভাগ করে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীদের উপর পুরোপুরি নির্ভর না করে বাংলার দায়িত্ব নিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা। অমিত শাহ তো বটেই গত লোকসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়া আসনগুলিতে এখন থেকে জয়ের প্রস্তুতি শুরু করার দায়িত্ব নিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। রাজ্য আসছেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষও। 


শুক্রবারেই কলকাতায় আসছেন তিনি। সেখানে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সোজা চলে যাবেন বীরভূমের তারাপীঠে।  শুক্রবার থেকেই সেখানে শুরু হচ্ছে তিন দিনের ‘বিস্তারক প্রশিক্ষণ বর্গ’। জানা গিয়েছে, শুক্রবার কলকাতার বৈঠকে থাকছেন না রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বৈঠক সেরে দুপুরেই সন্তোষ চলে যাবেন তারাপীঠে। সেখানে মা তারার মন্দিরে পুজো দিয়ে স্থানীয় একটি হোটেলে শুরু হবে প্রশিক্ষণ বর্গ।

এ রাজ্যের হেরে যাওয়া ২৪টি আসনের সংগঠন মজবুত করার লক্ষ্যে মাস ছ’য়েক আগেই ২৪ জন দলীয় কর্মীকে ‘বিস্তারক’ নিয়োগ করে গেরুয়া শিবির। দীর্ঘ বাছাইপর্বের পর সেই গোটা দেশ থকে ২৪ জনকে নির্বাচন করে পাঠানো হয় পটনায়। সেখানে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। একই ভাবে বাংলার পরিস্থিতি বুঝে কী ভাবে কাজ করতে হবে, শুরু হবে তার প্রশিক্ষণ। এই শিবিরে কেমন প্রশিক্ষণ হবে,  কারা আসছেন, কারা থাকছেন, কোনও কিছুই আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বিজেপি।
 

Around The Web

Trending News

You May like