কলকাতা: ২০০ আসনের লক্ষ্য নিয়ে এবার বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় যুদ্ধ করতে নেমেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু ফলাফলের পর দেখা গিয়েছে ৮০ পর্যন্ত ছুঁতে পারেনি তারা। উল্টে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এমনকি গত বিধানসভার ফলাফলের থেকেও ভালো ফল করে এবার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এখনই আশা ছেড়ে দেয়নি বিজেপি শিবির কারণ তারা মনে করছে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের বাংলায় ক্ষমতায় আসবে তারা। বিজেপির কার্যকরী বৈঠকে এমনই দাবি করেছেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
এদিন বঙ্গ বিজেপির কার্যকরী বৈঠক ছিল যেখানে ভার্চুয়ালি দিল্লি থেকে যোগ দিয়েছিলেন তাদের সর্বভারতীয় সভাপতি। নির্বাচনে হারের পর বাংলার বিজেপি নেতাদের মনোবল শক্ত করতে এদিন কার্যত পেপটক দেন তিনি। দাবি করেন, এই বছর বাংলার নির্বাচনে ৭৭ আসন পেয়েছে বিজেপি যা গত বিধানসভায় ছিল মাত্র ৩। তাই তিনি মনে করছেন যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি আরো বড় লাফ মারবে। অর্থাৎ আগামী বিধানসভায় বাংলায় ক্ষমতা দখল করবে বিজেপি এমন আশা রাখছেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে তিনি বর্তমান রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে একের পর এক ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড থেকে শুরু করে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনাকে সামনে রেখে সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নাড্ডা দাবি করেছেন, বাংলায় ভোটের পরে যেমন হিংসা হয়েছে তা ভারতবর্ষের কোথায় হয়নি। বাংলার মতই অন্যান্য ৪ টি রাজ্যে একই সময়ে নির্বাচন হয়েছে কিন্তু সেখানে কোনো রকম হিংসা হয়নি। এই প্রেক্ষিতে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসকে একহাত নিয়ে বলেছেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যেখানে থাকবে সেখানেই হিংসা হবে।
আরও পড়ুন- প্রতারণা থেকে শিক্ষা, ভুয়ো ভ্যাকসিন শিবির রুখতে পদক্ষেপ রাজ্যের
প্রসঙ্গত বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও আজ এই ধরনের মন্তব্য করে রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করেছেন। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, নির্বাচনের পর বাংলায় যে সন্ত্রাস হয়েছে তা আদতে কাশ্মীরের থেকেও ভয়ঙ্কর। আসলে সন্ত্রাসে কাশ্মীরকেও ছাপিয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। দিলীপ দাবি করেছেন যে এই মুহূর্তে বাংলার প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া এবং যারা বিজেপি পরিবারের সদস্য তারা সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভয় পাচ্ছেন। এই প্রেক্ষিতে তিনি স্পষ্ট মন্তব্য করেছেন যে বর্তমান সরকারের রাজত্বে বাংলার অবস্থা কাশ্মীরের থেকেও খারাপ হয়ে গিয়েছে এবং তা আরো খারাপ হচ্ছে দিন দিন।